f
২০১৭ সালে আমি কিছু অসাধারণ বই পড়েছি। অনেক অনেক জিনিস শিখেছি। সেখান থেকে অনেক কিছু আমার লাইফে এপ্লাই করেছি। আমি শিউর এখন থেকে কিছু বই তুমি পড়লেও তুমি তোমার লাইফে এগুলা এপ্লাই করতে পারবে
সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকো? তাহলে মোবাইল দিয়েই ইংরেজি শিখো। কিচ্ছু চিন্তা না করে Hello English নামের এই এপ তোমার মোবাইলে ইনস্টল করে ফেলো। এটাতে ১৯টা ধাপ আছে। ইনস্টল করার পর ওপেন করে বলে দাও-
ধামা-ধাম ফটোশপ নিয়ে বসে পড়লে, ফটোশপ অপারেটর হতে পারবে, গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবে না। গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে সিস্টেমেটিক্যালি ধাপে ধাপে কয়েকটা জিনিস শিখতে হবে।
প্রতি সপ্তাহে একটা কিছু শিখার, ট্রাই করার চ্যালেঞ্জ দিবো। সেটা দিয়ে কিছু একটা বানিয়ে দিতে হবে। ভালো হোক খারাপ হোক, সেটা নিয়ে আমি কেয়ার করি না। আমি কেয়ার করি তুমি একটা কিছু বানাইছো। চেষ্টা করছো।
দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করো? চার্জের লাল বাত্তি জ্বলার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চার্জার নিয়ে বসে পড়ো! অথচ কখনো কি চেক করেছো তোমার লাইফের চার্জ কতটুকু আছে?
৯৯% পোলাপান চার লেভেলে ধরা খেয়ে যায়-লাইফ স্টাইলে কিছু চেইঞ্জ করতে চায় না, ডিসকমফোর্ট একসেপ্ট করতে না, ডিসিপ্লিন এনফোর্স করে না , নতুন হ্যাবিট ডেভেলপ করতে চায় না
বিজনেস শুরু করার আগেই বেশিরভাগ পোলাপান ৫টা ট্র্যাপে পড়ে যায়- প্রেস্টিজ বা আত্মসম্মান কমে যাওয়ার ভয়, ইনিশিয়াল ইনভেস্টমেন্টের অভাব, লস খাওয়ার ভয়, আজাইরা প্ল্যানিং,পারফেকশন উইথ ইনকারেক্ট টার্গেট। এই পাঁচটা ট্র্যাপ ডিলিট করে, জোশ নিয়ে নেমে পড়ো। দেখবে বিজনেসের খেলা শুরু হয়ে গেছে
নেটওয়ার্কিং করার জন্য তোমাকে এক্সট্রোভার্ট হওয়া লাগবে না। বরং ইন্ট্রোভার্ট হয়েও একটু একটিভ আর ইউজফুল হলে খুব সহজেই নেটওয়ার্কিং করে ফেলা যায়। তবে একটা জিনিস বুঝতে হবে- তোমার দরকারে কেউ তোমার সাথে নেটওয়ার্কিং করবে না। বরং তুমি যদি কারো কাজে লাগো তাহলেই সে তোমার সাথে নেটওয়ার্কিং করবে।
তোমার লাইফের যত হতাশা, যত সমস্যা, যত ঝামেলা আছে। সবগুলা যদি একটা জিনিস দিয়ে সল্ভ করতে চাও- তাহলে সেটা হবে সেলফ কন্ট্রোল বা আত্ম নিয়ন্ত্রণ
প্রথমেই প্রমিজ করতে হবে- নেক্সট এক মাস প্রতিদিন দুই ঘন্টা (মিনিমাম এক ঘন্টা) প্রোগ্রামিংয়ের পিছনে ব্যয় না করলে আমি রাতের খাবার খাবো না। খাবো না তো, খাবোই না। আজকের মধ্যে প্রোগ্রামিংয়ের যেকোন বই, ওয়েবসাইট বা টিউটোরিয়াল ঠিক করতে হবে। সেখানে যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে সেটা দিয়েই শুরু করতে হবে।
শুধু ট্যালেন্ট দিয়ে সব হয়ে গেলে, যে ফার্স্ট হয় তাকে ক্লাসে যাওয়া লাগতো না। এক সপ্তাহ হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করে ডাক্তার হওয়া গেলে, পাঁচ-ছয় বছর ধরে, মোটা মোটা বই কেউ পড়তো না।
যে সাবজেক্টটা কঠিন বলে, তুমি ফেল করেছ। সেই একই সাবজেক্টে, তোমার ক্লাসের অর্ধেকের বেশি পোলাপান ৬০ এর উপরে মার্কস পেয়েছে। যে বৃষ্টির কারণে, যে ঠাণ্ডার ভয়ে তুমি ঘর থেকে বের হওনি। সেই একই বৃষ্টিতে ভিজে, একই ঠাণ্ডায় কেপে কেপে, রিক্সাওয়ালারা ঠিকই সংসার চালানোর টাকা কামিয়ে ঘরে ফিরেছে।
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে- "এমন একটা সফটওয়ারের নাম বলেন, যেটা দুনিয়ার সব চাকরিতে লাগে"। তাহলে আমার উত্তর হবে- মাইক্রোসফট এক্সেল। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সেলস, একাউন্টিং, বিজনেসম্যান, মার্কেটিং, এমনকি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সহ দুনিয়ার ৯৫% চাকরি এক্সেল ছাড়া অচল।
কেউ যদি জিগ্যেস করে, আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? গলা হাঁকিয়ে বলে দেন- বিজনেস ম্যান, মাল্টি-ন্যাশনালে চাকরি, গাড়ি, বাড়ি, ইত্যাদি। কিন্তু ভুলেও কখনও বলেন না আপনার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে- রাত জেগে প্রিমিয়ার লীগের খেলা দেখা, কে কয়টা গোল করছে তার হিসাব রাখা, ঘন্টার পর ঘন্টা ফেইসবুকের হোমপেইজে স্ক্রল করা। অথচ দিনের পর দিন এই কাজগুলা করেই,
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, কম্পিউটার সায়েন্সের বারান্দায় পা দিলেই, হাজার খানেক প্রশ্ন মনের ভিতরে আকুপাকু করে। সেই আকুপাকুর চুলকানির মলম নিচে দেয়া হলো
আমরা ইংরেজি পত্রিকা পড়ে, সাব-টাইটেল ওয়ালা মুভি দেখে, কিংবা ইংলিশ মিডিয়ামের কারো সাথে টাঙ্কি মেরে ইংরেজি শিখার চেষ্টা করি। আবার ইংরেজি গান শুনে, পকেটে ডিকশনারি নিয়ে, এমনকি কোচিং সেন্টারেও ভর্তি হই। তবে ফ্রেন্ডদের সামনে ইংরেজিতে কথা বলতে গিয়ে শব্দ খুঁজে না পেয়ে, হাসির পাত্র হয়ে, ইংরেজি শিখার চেষ্টাকে চিরদিনের জন্য আনফ্রেন্ড করে দেই।
লাইফকে লাইনে আনার জন্য। পিছিয়ে পড়েও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-
মাস্তি করতে করতে বলদ থেকে ডাইরেক্ট বস হয়ে যাওয়ার বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-
প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক জিনিসগুলো শিখার পরে নেক্সট লেভেলে এ যেতে। একটা কমপ্লিট একটা গাইডলাইন পেতে। রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-
যেকোন জিনিস নিয়ে প্রশ্ন করতে পারো
শুধু মাত্র ABCD আর যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ জানলেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করতে পারবে।
শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।
পড়ালেখা করতে গেলে, চেয়ারের সাথে সুপার গ্লু মেখে, ঘন্টার পর ঘন্টা বই খুলে বসে থাকলেও এক লাইনও পড়া হয় না।
নাকানি চুবানি খাইতে খাইতেও মানুষ হইতে পারলাম না। ড্রিম জব ল্যান্ড করাতো দুরের কথা।
সময়ের এক ফোঁড়, কমাবে হতাশার ঘোর
চেষ্টার নেশা, সফলদের একমাত্র পেশা
অযথা প্ল্যান, করে ফিউচার ম্লান
Hosting sponsored by: XeonBD