গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাই

চেষ্টার নেশা, সফলদের একমাত্র পেশা

গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাও?

 

ধামা-ধাম ফটোশপ নিয়ে বসে পড়লে, ফটোশপ অপারেটর হতে পারবে, গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবে না। গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে সিস্টেমেটিক্যালি ধাপে ধাপে কয়েকটা জিনিস শিখতে হবে।

 

ধাপ-১: তোমাকে একটু হলেও আঁকাআঁকি জানতে হবে। খুব ভালো আর্টিস্ট হওয়া লাগবে না। তবে একটু ঘরবাড়ি, গাছপালা, মুখ-হাতপা কয়েকটা টান দিয়ে চট করে এঁকে ফেলতে পারতে হবে।

 

একটু একটু করে শুরু করে দাও। কার্টুন পিপল নামে বাংলায় কিছু টিউটোরিয়াল আছে সেগুলা দেখে ফেলো । ইংরেজি ভিডিও দেখতে চাইলে এইখানে সুন্দর করে কিছু ভিডিও দেয়া আছে Learn to Draw
আর বই পড়তে চাইলে প্রথম অপশন হচ্ছে You Can Draw in 30 Days

 

ধাপ-২: তোমাকে কালার বুঝতে হবে। কোন কালারের সাথে কোন কালার যাবে। তুমি কি কটকটে কালার দিবা না অন্য কোন কালার দিবা। কোন আইটেমের জন্য কোন কালার দিলে যাবে, ভালো লাগবে সেটা না বুঝতে হবে। সেজন্য Warm কালার, cool কালার, Neutral কালার, কালার হারমনি, কালার হুইল, কালার কনটেক্সট, কালার কম্বিনেশন সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। কালারের যে মুড আছে, ফিলিংস আছে, বিহেভিয়ার আছে, RGB, CMYK, hue, saturation  সেগুলা মাথায় রাখতে হবে।  আবার কোন কালার প্রেসে গেলে মাইর খাবে (প্রিন্ট আউট হলে নষ্ট হয়ে যাবে) কিন্তু ওয়েবসাইটে ফুটে উঠবে সেগুলা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে।   

 

অথবা এই ছোট ভিডিওটা দেখে ফেলতে পারো:

তিন সিরিজের আমার খুব ভালো লেগেছে সিরিজের তিনটা লেখা খুবই জরুরি।

  1. Color Theory for Designers
  2. Part 2
  3. Part 3

 

 

ধাপ-৩: সব ডিজাইনেই কিছু না কিছু কথা লেখা থাকে। সেই লেখাগুলোর ফন্ট কি হবে? সাইজ কেমন, কোন ফন্টের সাথে কোন ফন্ট যাবে। সেটা কি পড়া ইজিয়ার হবে। এই পুরা জিনিসটাকে বলে টাইপোগ্রাফি। ভালো ডিজাইনার হতে হলে তোমাকে টাইপগ্রাফি জানতেই হবে। কোন মাফ নাই।

 

টাইপগ্রাফি নিয়ে এই ছোট ভিডিওতে অনেক কিছু কভার করছে:

অথবা: 8 Rules for Creating Effective Typography



ধাপ-৪: এর পরে তোমাকে কোন একটা সফটওয়্যার শিখতে হবে। সেটা হতে পারে photoshop বা illustrator দুইটার যেকোন একটা দিয়ে শুরু করতে পারো। এই দুইটার মধ্যে কী পার্থক্য জানতে হবে। সেটার জন্য বাংলায় ইংরেজিতে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।

 

এদের মধ্যে একটা হচ্ছে- এক দিনেই শিখুন ফটোশপ

 

illustrator শিখার অনেকগুলা টিউটোরিয়াল আছে এইখানে



ধাপ-৫: ওভারঅল জিনিসটা কেমন হবে দেখতে। পুরা জিনিসটা এক সাথে ভালো লাগতেছে কিনা সেই জিনিসটা খেয়াল রাখতে হবে। এইটাকে বলে লেআউট কেমন হবে। অর্থাৎ কোন জিনিসটা কোথায় দিলে সেটা আগে চোখে লাগবে, গ্রাফিক ডিজাইনের উদ্দেশ্য ফুলফিল হবে আবার বেখাপ্পা লাগবে না। একটা ডিজাইনে অনেকগুলা পার্ট থাকে সেগুলা একটার সাথে আরেকটা মিল খাচ্ছে কিনা সেটাকে বলে কম্পোজিশন ঠিক আছে কিনা বুঝতে হবে। সেটা বুঝার জন্য এই ছোট্ট ভিডিওটা দেখে ফেলো।

 

ধাপ-৬: গ্রাফিক ডিজাইনের অনেকগুলা এরিয়া আছে। তার মধ্যে যেকোন একটা এরিয়াতে তোমাকে ফোকাস করতে হবে। যেমন, logo ডিজাইন, পোস্টার/ব্যানার ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, মোবাইল এপ ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন। আরো অনেক কিছু। যেকোন একটা কিছুর দিয়ে তোমাকে শুরু করতে হবে। নিজে নিজে কয়েকটা বানিয়ে ফেলতে হবে। কেউ কাজ না দিলেও তুমি ফ্রি ফ্রি কিছু মানুষের জন্য কিছু জিনিস বা কিছু কোম্পানির জন্য বানিয়ে ফেলতে পারো। যেমন ২১ এ ফেরুয়ারির জন্য শ্রদ্ধা, স্বাধীনতা দিবসের জন্য, অথবা তোমার বন্ধুর ফেইসবুক কভার। হাবিজাবি বানিয়ে তোমার একটা ২০-২৫ টা কাজ এর একটা পোর্টফোলিও বানিয়ে ফেলতে হবে।

 

দেশি বাংলা ভাষায় logo ডিজাইন টিউটোরিয়াল

 

ধাপ-৭: তুমি যখন অনেকগুলা গ্রাফিক ডিজাইন করে ফেলবে (সেগুলা ফ্রি না পেইড, তা খুব বেশি মানুষ জিজ্ঞেস করবে না) তখন তোমার টার্গেট হবে গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড কাজ পাওয়া। সেটা দেশে কোন চাকরি হতে পারে, কেউ অনলাইনে কাজ করে তাকে হেল্প করার জন্য হতে পারে অথবা নিজেই বিভিন্ন ফ্রীল্যানচিং সাইটে প্রোফাইল খুলে চেষ্টা করতে পারো।  

 

এইটা হচ্ছে সিরিয়াল অনুসারে ধারাবাহিকভাবে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তোলা। তুমি চাইলে রিভার্স স্টাইলেও চেষ্টা করতে পারো। আগে ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের টিউটোরিয়াল দেখলে, আলতু-ফালতু হলেও কিছু জিনিস বানিয়ে ফেললে। তারপর একটু করে কালার থিয়োরী, টাইপোগ্রাফি, ড্রয়িং শিখলে।

 

মেইন কথা হচ্ছে, ভালো গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে, ফটোশপের বাইরেও তোমাকে কিছু জিনিস শিখতে হবে সেটা আগে হোক বা পরে হোক।

রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি

লাইফকে লাইনে আনার জন্য। পিছিয়ে পড়েও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের ভিতর থেকে নিজেকে বের করে আনার জন্য বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী

প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক জিনিসগুলো শিখার পরে নেক্সট লেভেলে এ যেতে। একটা কমপ্লিট একটা গাইডলাইন পেতে। প্রোগ্রামিংয়ের ইন্টারিভিউতে যে কোম্পানি যে এঙ্গেল থেকেই প্রশ্ন করুক না কেনো, সেটার যাতে উত্তর দিতে পারার মতো করে প্রস্তুত করে নিতে। সেটা ছোট, মাঝারি এমনকি গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুকের মতো বড় কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে। বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

বই

মজায় মজায় প্রোগ্রামিং শিখতে, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস বই

মাস্তি করতে করতে বলদ থেকে ডাইরেক্ট বস হয়ে যাওয়ার বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং

প্রেম রিলেটেড প্রশ্ন, হতাশা কিংবা কনফিউশন রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর

ইয়াং বয়সে প্রেম

শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।

Higher Study Abroad

শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।

খারাপ স্টুডেন্টদের ক্যারিয়ার

নাকানি চুবানি খাইতে খাইতেও মানুষ হইতে পারলাম না। ড্রিম জব ল্যান্ড করাতো দুরের কথা।



Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]