রিচার্জ ইউরসেল্ফ

অযথা প্ল্যান, করে ফিউচার ম্লান

Plan related main page

দুনিয়ার ৯৯.৯৯৯৯% মানুষ, জীবিকা নির্বাহ করে, খায় দায় ঘুমায়, তারপর একদিন মরে যায়। তাদের অনেকেই প্রচুর ট্যালেন্টেড, দক্ষতা আছে, তারপরেও তারা তাদের লক্ষে পৌছতে পারে না। ট্যালেন্ট বা দক্ষতা নয়, আপনাকে সফলতা দিবে- আপনার চেষ্টা, আপনার কাজ, আপনার সাধনা।

এই লেখাটি পড়ে, আপনি যদি ভাবেন দুনিয়া উল্টায় দিবেন। আপনি পারবেন না, কারণ- আপনার ভিতরে সেই লেভেলের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা নাই যেটা আপনাকে সারারাত জাগিয়ে রাখবে যেটা আপনার ক্ষুধার কথা ভুলিয়ে দিবে। বন্ধুর জন্মদিন, নববর্ষের পার্টি মিস করিয়ে দিবে ভিতরে সেই চরম লেভেলের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নাই যে, দুইবার লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পরার পরেও আবার প্রোগ্রামটা মিলছে না বলে, ল্যাপটপ অন করে অন্য আরেকভাবে ট্রাই করছেন ২০ বার গুগল করার পরেও, সকালে ঘুমেত্তে উঠে আরেকবার সার্চ দিবেন, যদি কিছু পাওয়া যায়।

এত ডিপ লেভেলের ডেডিকেশন, মোটিভেশন মানুষ পায় কেম্নে আর ধরেও বা রাখে কেম্নে? নিজের ভিতর থেকে প্রয়োজনটা অনুভব করতে হবে । ফকিরা মার্কা ইচ্ছা হইলে, কিচ্ছু হবে না। জিনিসটা এমনভাবে নিতে হবে যে, আপনার বাঁচা মরা নির্ভর করে এইটার উপর কোনো অল্টারনেটিভ প্ল্যান রাখবেন না। দুইদিন একটা, দুই দিন পর অন্য আরেকটা করতে করতে এক ঢাল থেকে অন্য ঢালে ঘুরতে থাকলে, আপনি শাখামৃগ হয়ে থাকবেন। আসল মৃগ হতে পারবেন না আপনার পা যতই ব্যথা করুক না কেন, আপনি জানপ্রাণ দিয়ে দুই ঘন্টা ধরে দৌড়াইলেও কি হবে আপনি ছেড়ে দিতে পারবেন না, ঝিরিয়ে নিতে চাইবেন না, যদি পিছনে ক্ষুদার্ত বাঘ তাড়া করে আপনি সবরকমে চেষ্টা করবেন, সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করবেন। বিন্দুমাত্র দম থাকলেও চেষ্টা করবেন। শুধু একটা কাজ করবেন না, যে আপনি ছেড়ে দিবেন না। নিজেরে বাঘের খাবার বানাতে চাইবেন না।

আপনার নিজের ভিতরে সেই ক্ষুদার্ত বাঘ আপনাকেই তৈরী করতে হবে মরিয়া হয়ে কিছু চাইতে শুরু করলে, আরামের ঘুম আপনার ভালো লাগবে না ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে কাজ করবেন, ২৫ মাইল হেটে গিয়ে স্কুলে যাবেন দোকানের গ্লাসের বাইরে দাড়িয়ে অন্যের কম্পুটার কাজ করা দেখে শিখার চেস্টা করবেন দুপুরে খাবারের কথা ভুলে গিয়েও, আপনি আপনার সাধনা চালিয়ে যাবেন তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ঠিক উল্টা, আমি-আপনি, সিজনাল তাবলীগে যাওয়ার মতো। একটা বয়ানে বসলে বা ৩ দিন সময় দিলে ঈমান শক্ত হয়। কয়দিন নামাজ কালাম পড়ি তারপর দুনিয়াবি হাবিজাবি জিনিসের সাথে কুলষিত করে, নামাজ পড়া ছেড়ে দেই।

সিজনাল গিরি কমাতে, বেলাইন থেকে লাইনে আসতে নিচের ভিডিও কয়েকদিন পর পর দেখি

১. একটা মানুষের হাত নাই, পা নাই তারপরেও সে কিভাবে বেসম্ভব সফল লাইফ যাপন করে নিক ভিযুইসিক আমার আল টাইম হিরো:

২. যদি কোনো কিছুতে হেরে যাই বা হোচট খাই বা যেভাবে চাইছিলাম, সেভাবে পাই নাই তখন মাইকেল জর্ডান ফেইলিউর:

৩. কানে শুনতে পায় না, এমন একজন কিভাবে ভায়োলিন বাজিয়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পেন্টিনের অ্যাড:

৪. মানুষ টিটকারী করবে, but believe in you, dont be nervous, keep fighting. সুজান বয়েল অডিশন:

৫. ছোটবেলায় এই গানের লিরিক্সটা পড়ার টেবিলে ঝুলায় রাখসিলাম এবং টায়ার্ড হলে পড়তাম হিরো by মারিয়া ক্যারি:

এইরকম শত শত ভিডিও পাবেন ইউটিউবে। খুঁজে বের করেন। যেগুলো আপনাকে ইন্সপায়ার করে। একটু কষ্ট লাগলে, ফাকিবাজি করতে মন চাইলে সেই ভিডিও চালিয়ে, নিজেই নিজেকে রিচার্জ করুন। ঠিকমত রিচার্জ না করলে দামী ফোনসেট দিয়ে একদিন সেলফি তুলে আর যেমন তুলতে পারবেন না। তেমনি, নিজেকে নিজেই রিচার্জ না করলে, মোটিভেট না করলে, আপনি ৯৯.৯৯৯৯% হয়ে যাবেন।

সঙ্গেই থাকুন::

হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে


FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]