Recharge regularly via Motivation
যে ট্রাফিক জ্যামে তিন ঘন্টা আটকে থাকায় তোমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, সেই ট্রাফিক জ্যামেই, ট্রাফিক পুলিশ সারাদিন দাড়িয়ে থাকে তোমাকে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে। যে রিক্সার পলিথিনের ছোট ফুটা দিয়ে পানি ঢুকে প্যান্ট ভিজে যাওয়ায় তুমি বিরক্ত হচ্ছো, সেই রিক্সারই চালক বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে তোমাকে পৌঁছে দিতে। যে পুরাণ-ছোট বাসায় গাদাগাদি করে থাকার কথা বলতেই তোমার প্রেস্টিজে লাগে, সেই বাসারই থাকা-খাওয়ার খরচ যোগার করতে তোমার আব্বু-আম্মুর মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। অথচ তাদের কষ্ট, তাদের সেক্রিফাইসের কথা তোমার চিন্তায়ও আসে না। তুমি ব্যস্ত আছো তোমার ভালো না লাগা, মজা না লাগা, বিরক্ত হওয়া নিয়ে।
শুনো, ভালো না লাগা, বিরক্ত হওয়া পাবলিক তুমি একা না। রিক্সাওয়ালারও রিক্সা চালাতে ভালো লাগে না। ধুলা-বালি, বাসের ধোয়া গিলতেও ট্রাফিক পুলিশের মজা লাগে না। আসলে দুনিয়ার যার যে কাজ, তার সেটা করতে ভালো লাগে না। তারপরেও ঝড়-তুফান উপেক্ষা করে, সর্দি-কাশি ভুলে গিয়ে, উত্তেজনাপূর্ণ খেলা সাইডে রেখে দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে। কেন? কারণ তারা কাজ করে উপার্জন করে- প্রয়োজন মেটাতে, ইমোশন ফুলফিল করতে, ঝামেলা ওভারকাম করতে। যার প্রয়োজন বা ইমোশন যত তীব্র- তার অজুহাত, আলসেমি, ছুতা বা ভয় তত কম।
তোমার সাদা ভাতের স্বপ্নের সাথে ইমোশনের তরকারী মাখো। প্রয়োজনীয়তার সঙ্কট অনুভব করে পেটের ক্ষুধা বাড়াও। শরীর মন এক করে, তোমার কন্ডিশন ওভারকাম করতে, তোমার লক্ষ্য অর্জন করতে ক্রেজি হও। দেখবে এক ঘন্টার জায়গায় পাঁচ ঘন্টা লেগে আছ। একবারের জায়গায়, বারবার এসে সেই একই কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছ। তোমার মৌচাক যতবার ভেঙ্গে দিবে, ততবারই মধু সংগ্রহ করে মৌচাক বানিয়ে ফেলবে। আয়েশের একটা দরজা বন্ধ হলে আরো সাতটা দরজা খুলে ফেলবে। যে সাবজেক্টের রেজাল্ট খারাপ করছিলা, সেটাতেই হায়েস্ট পেয়ে যাবে। ফেল করা ক্লাসেই টপ ফাইভে চলে আসবে।
মনে রাখবে, 'ভালো না লাগা' একটা জাতীয় সমস্যা। এইটাকে প্রশ্রয় দিলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এইটাকে কন্ট্রোল করতে পারলে, তুমি তিড়িংবিড়িং করে এগিয়ে যাবে। তাই মজা না পাইলেও তোমারও তোমার কাজে বারবার ফিরে আসতে হবে। ভালো না লাগলেও বই খুলে বসতে হবে। একবারে না বুঝলে বারে বারে বই খুলে জোর করে বসে থাকতে হবে। লাস্ট বেঞ্চে বসে বুঝতে না পারলে, ফার্স্ট বেঞ্চে এসে বসতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দফারফা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে। দেখবে ভালো না রোগ তোমার অজান্তেই পালিয়ে গেছে।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]