Give them a better world
জিপিএ কম হওয়ার কারণে স্কলারশিপের দরজা বন্ধ হয়ে থাকে না। ফান্ড পাওয়ার জন্য পেপার পাবলিশ করা বাধ্যতামূলক না। ভিসা, এডমিশনের জন্য তোমার হায়ার স্টাডি আটকে থাকবে না। তবে USA তে হায়ার স্টাডি করতে চাইলে জিআরই পরীক্ষা মাস্ট দিতে হবে। এটাই ইউএসএতে হায়ার স্টাডি করতে যাওয়ার সবচেয়ে কঠিন পার্ট। তবে জিআরই দেয়ার চাইতেও কঠিন হচ্ছে- একটানা সপ্তাহ দুয়েক জিআরই প্রিপারেশন নেয়া। এইটা যে করতে পারছে, সে রাস্তা ধরে ফেলছে।
জিপিএ কম হলে জিআরই দিয়ে পোষানো যায়। অনার্সের রেজাল্ট খারাপ হলে মাস্টার্সের ভালো রেজাল্ট দিয়ে কভার করা যায়। তবে জিআরই না দিয়ে ভালো বা মোটামুটি মানের ভার্সিটিতে স্কলারশিপতো দূরের কথা, এডমিশনও পাওয়া যাবে না। শুনো- চালের বস্তা মাথায় নিয়ে স্টেশনে যাওয়া লাগলে, শীত-গ্রীষ্ম খুঁজে লাভ নাই। তাই দরকার হলে, তিন-চার মাসের পকেট খরচ জোগাড় করে, চাকরি ছেড়ে দাও। নিজে নিজে না পারলে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হও। তবে ইউএসএতে সেটেল হওয়াটাই লংটার্ম গোল হলে আইবিএ এর এডমিশন টেস্ট, বিসিএস পরীক্ষার প্রিপারেশনের লাইনে গুঁতাগুঁতি না করে সোজা লাইনটা ধরো। জিআরই পড়তে বসো।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফান্ড তুলনামূলক-ভাবে বেশি। তবে ফার্মেসি, ফিজিক্স, এমবিএ, ইকোনোমিকস, পরিসংখ্যান, ইনভায়রনমেন্ট সায়েন্স, এগ্রিকালচার, টেক্সটাইলের পোলাপান গুঁতায় গাঁতায় ঠিকই ফান্ড বের করে ফেলে। জিপিএ, জিআরই, পাবলিকেশন মেটার করে- প্রাইভেট না পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট, সেটা মেটার করে না। তোমার প্রোফাইল ভালো হলে, ফান্ড দিবে। তবে ইন্ডিয়ান অনেকেই ফান্ড না পাইলেও, লোণ নিয়ে, দুই-এক সেমিস্টারের টিউশন ফি জোগাড় করে চলে আসে। তারপর ভার্সিটিতে পার্ট টাইম কাজ করে। প্রফেসরের পিছনে ঘুরে ঘুরে ফান্ড জোগাড় করে ফেলে।
যারা স্টুডেন্ট, তারা ক্লাসের পড়া বাদ দিয়ে জিআরই পড়তে যেও না। বরং ক্লাসে ভালো করলে, ফার্স্ট-সেকেন্ড হতে পারলে, হায়ার স্টাডির দৌড়ে এগিয়ে যাবে। ভালো প্রজেক্ট বা বড় কম্পিটিশনে জিততে পারলে- ট্যালেন্ট শো করা ইজিয়ার হবে। দুই-একটা ভালো পাবলিকেশন করে ফেলতে পারলে, ভালো ভার্সিটিতে ফান্ড পাওয়ার প্রোবাবিলিটির বেড়ে যাবে। তোমার সিনসিয়ারিটি, তোমার সিরিয়াসনেস আর তোমার ডেসপারেটনেসের উপরই তোমার ফিউচার নির্ধারিত হবে।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]