সিগারেট খাওয়া কেম্নে শুরু হয় সেটা সবাই জানে। প্রথম প্রথম, বন্ধুদের সাথে এক টান, দুই টান। তারপর আসে, কে কতক্ষণ ধুয়া ধরে রাখতে পারে, গিলে খাইতে পারে। কে কত বেশি ধোঁয়া- নাকে দিয়া, পশ্চাদ অঙ্গ দিয়া বের করতে পারে, সেই কম্পিটিশন। আস্তে আস্তে অভ্যাস তৈরি হয়। তারপর, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর একটা না খাইলে ভালো লাগে না। চা খাওয়ার পর একটা না হইলে ঝমে না, গা ম্যাজম্যাজ করে। কয়েকদিন পরে দেখা যায় দিনে মোটামুটি পাঁচ টা লাগে। আরো কিছুদিন পরে দেখা যায় আধা প্যাকেট কাজ হয় না।
অন্যদিকে, যে জীবনে কোন দিন সিগারেট খায় নাই, যদি তারে গিয়ে বলো- "আজকে সারাদিন সিগারেট খাবা। সারাদিনে দুই প্যাকেট শেষ করবা।" সে দুই প্যাকেট তো দুর কি বাত, দুই পিসও খাইতে পারবে না।
ধরো তুমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চাও। সেটার অভ্যাসও আস্তে আস্তে তৈরি করতে হবে। সিগারেট খাওয়া শুরু করার স্টাইলে। তারপর ফ্রেন্ড বা পরিচিত কেউ, যে প্রোগ্রামিং করে তারসাথে প্রোগ্রামিং নিয়ে আড্ডা দাও। সে কেম্নে কি করে সেটা জানতে চাও। অনেকেই আছে, নিজের কাজ বা মুনশিয়ানা দেখাতে ভালোবাসে। তারে সেই সুযোগ দাও। তার বকর বকর শুনো। মাথা মুণ্ডু কিচ্ছু না বুঝলেও শুনো। অনেকটা সাব-টাইটেল ছাড়া তামিল মুভি দেখার মতো। রেন্ডম দুই একটা ভিডিও, দুই চার মিনিট দেখো। ভালো না লাগলে বন্ধ করে দাও।
রাতে ঘুমানোর আগের ১০ মিনিট ফেইসবুকিং না করে, হুকুশ পাকুশের প্রোগ্রামিং সাইটে কয়েকটা লাইন দেখে, তারপর ঘুমাতে যাও বা অন্য কোনো সাইটে, জাস্ট ১০মিনিট টাইম পাস করো। জাস্ট ১০ মিনিট। ল্যাপটপে না পারলে, মোবাইলে। এক-দেড় মাস পরে, দেখা যাবে, ১০ মিনিট টাইম স্পেন্ড করতে গিয়ে ২০ বা ৩০ মিনিট টাইম স্পেন্ড করে ফেলছো। তারমানে আস্তে আস্তে নেশার জগতে প্রবেশ করতেছো। আরো কিছু দিন পরে দেখবে, সকালে উঠেই ডাইরেক্ট ফেইসবুকে না গিয়ে এমনকি দাঁত ব্রাশ করারও আগে, ১০ বা ২০ মিনিট কিছু টিউটোরিয়াল দেখে ফেলছো। বা লাইট অফ করে ঘুমানোর পরে, আবারো লাইট জ্বালিয়ে অন্যভাবে প্রোগ্রাম ট্রাই করতেছ।
এইভাবে নেশার জগতে আস্তে আস্তে আস্তে প্রবেশ করে ফেল্লে, সারাদিন প্রোগ্রামিং বা ফটোগ্রাফি বা গিটার বাজানো কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু হুট করে সারাদিন করার প্ল্যান করলে, এক চিমটিও লাভ হবে না। সো, ধীরে ধীরে শুরু করো। একটু একটু করে বাড়াতে থাকো। দেখবে নিজের অজান্তেই স্কিল ডেভেলপ করার নেশার জগতে ঢুকে গেছো। সেই ইফেক্টিভ নেশাগ্রস্থ হবার আশীর্বাদ রইলো।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]