মাঝারী মানের স্টুডেন্ট

Prepare to be the best out of you

Admission Test Preparation

মাঝারী মানের স্টুডেন্টদের ফিউচার নষ্ট করার জন্য কোচিং সেন্টারগুলোই অনেকাংশে দায়ী। তারা ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন বইয়ের কোনাকানি থেকে বিদঘুটে জিনিসগুলো খুঁজে এনে, লম্বা লম্বা লেকচারশিট বানিয়ে ভালো স্টুডেন্টদের আরো ভালো বানাতে। কিন্তু একই সময়ে, মাঝারি মানের স্টুডেন্টদের যে পেট খালি সেদিকে খেয়াল করার মত সময় তাদের থাকে না। আর তাই ভালো স্টুডেন্টদের জন্য বানানো লেকচার-ক্লাসটেস্ট খালি পেটে গিলতে গিয়ে, মাঝারি মানের স্টুডেন্টরা গ্যাস্টিক-আলসার বাড়িয়ে হতাশ হয়ে কোচিং ছেড়ে পালায়।

অবশ্য মাঝারি মানের স্টুডেন্টরাও যে ধোয়া তুলসী পাতা, তা কিন্তু না। তারা সারা বছর ঢিলামির করে এসে এখন আফসোস করে আরো সময় নষ্ট করবে কিন্তু চেষ্টা করবে না। মচকানো পা ঠিক হওয়ার আশা করবে, কিন্তু তেল খুঁজে এনে মালিশ করবে না। তাই স্কুল-কলেজে ভালোভাবে পড়ালেখা না করে কোচিংয়ে এসে পরীক্ষায় ফেল করলে বা শূন্য পেলে। প্রথমেই আত্ম-উপলব্ধি করতে হবে এটাই তোমার বাস্তব অবস্থা। তোমার স্টার্টিং পয়েন্ট। এখন এইখান থেকে পালিয়ে গেলে এইটাই হবে তোমার ফাইনাল স্কোর। আর পালিয়ে না গিয়ে লেগে থাকলে, তোমার ফাইনাল স্কোর আর যাই হোক, শূন্যের চাইতে ভালো কিছু হবে।

যে ভর্তি পরীক্ষায় টপ তিনশ-চারশো এর মধ্যে থাকতে চায় না, সে কোচিংয়ের ক্লাসে বা লেকচারশিটের অনেক কিছু বুঝতে না পারলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বরং লেকচারশিটগুলা সাইডে রেখে, ইন্টারমিডিয়েটে যে বই পড়ছিলা, সেই বই থেকেই লেকচারের চ্যাপ্টারগুলা ভালো করে পড়ো। বইয়ের উদাহরণের অঙ্কগুলো কাগজে লিখে লিখে সলভ করো। লেকচারশিটের চ্যাপ্টার রিলেটেড আগের বছরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নগুলা দুই/তিনবার করে প্রাকটিস করো।

প্রতিটা লেকচার আর পরীক্ষার মধ্যে প্রায় দুই দিন (৪৫ ঘন্টার মতো) সময় পাবে। এই সময়টুকু হান্ড্রেড পার্সেন্ট কাজে লাগাতে হবে। আগে মজা করতে গিয়ে যতটা সময় অপচয় করছিলা, সেটা সুদে-আসলে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করতে হবে। যেকোনো মূল্যে তোমার অঙ্গীকার আর কাজের মধ্যে মিল রাখতে হবে। প্রত্যেকটা লেকচারে যতগুলা চ্যাপ্টার আছে, তার সব কয়টা চ্যাপ্টার পরীক্ষার আগে যে করেই হোক শেষ করতে হবে।

লাইফ এনজয় করা, বন্ধুত্ব ধরে রাখা, কোপা আমেরিকার মতো মসলাদার বিষয়গুলো এই কয়মাসের জন্য আলমারিতে তালা মেরে রাখতে হবে। দরকার হলে রাতের ঘুম কমিয়ে, বন্ধুর মেসেজের রিপ্লাই না দিয়ে, সাধনা চালিয়ে যেতে হবে। চার-পাঁচ মাসের আরাম আয়েশ সেক্রিফাইস করতে হবে, বাকী জীবনের জন্য।

সঙ্গেই থাকুন::

হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে


FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]