আমরা বিল্ডিং বানাই না। বরং একটা ইটের সাথে আরেকটা ইট জোড়া লাগাতে লাগাতে এক সময় বিল্ডিং হয়ে যায়। একইভাবে আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হই না। বরং এক একটা কোর্স পাশ করতে করতে একসময় ডাক্তার ইঞ্জিয়ার হয়ে যাই।
যে স্টুডেন্টটা নিয়মিত ক্লাস করে। এসাইনমেন্ট, কুইজ, প্রেজেন্টেশনের ইট একটার পর একটা জোড়া দিতে পারে, সেমিস্টার শেষে সেই ফার্স্ট হয়। এই ইট জোড়া দিয়ে দিয়ে সফল হওয়ার বিষয়টা শুধু স্টুডেন্ট লাইফের জন্য না। ভালো আর্টিস্ট, সিঙ্গার, রাইটার, ফটোগ্রাফার, বিজনেস ম্যান, সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তারা তাদের লক্ষ্য ঠিক রেখে একটার পর একটা ইট লাগিয়ে যেতে থাকে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে,তাদের শুরুর দিকের ইটগুলি আমরা দেখি না। দেখলেও উপেক্ষা করি, উপহাস করি। আর নিজেদের হেলাফেলা, আড্ডা, মাস্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তবে তারা কিন্তু তাদের মতো ইট গাথতে থাকে। ছোটখাটো ঝড়-তুফানের কারণে দুই-এক দিন ইট লাগানো বন্ধ করা লাগলেও পরেরদিন ঠিকই ইট লাগানো শুরু করে দেয়। কারণ তারা জানে তারা কি করতে চায়। তাদের লাইফের টার্গেট ঠিক করা আছে। তাদের মনে অর্জন করার প্রচণ্ড ক্ষুধা আছে। তাই নিত্য নতুন সিনেমা, গরম গরম খবর, ফাটাফাটি খেলা, তুমুল আড্ডা তাদের প্রতিদিনের ইট গাঁথুনি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে না। আর অনেক দিন পরে, আমরা অবাক হয়ে দেখি, তাদের এক একটা বিল্ডিং হয়ে গেছে। তারা সফল হয়ে গেছে। আমরা পিছনে পড়ে গেছি।
আপনার লাইফে আপনি কি হতে চান, সেটা ফাইনাল করা লাগবে। ড্রিম এচিভ করার জন্য ক্রেজি হতে হবে। নিজের স্বপ্ন অর্জন করার তাড়না তীব্র করতে হবে। চাহিদা ঝাঁঝালো হলে, চেষ্টা করার প্রেরণা আপনা আপনিই চলে আসবে। তারপর একটার পর একটা ইট গাথতে পারলে, আপনারও বিল্ডিং হয়ে যাবে। আপনিও সফল হতে পারবেন।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]