আইনস্টাইনও ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায় নাই

Prepare to be the best out of you

Admission Test Preparation

দুঃখজনক হলেও সত্যি আইনস্টাইনের মতো ব্যাটা পলিটেকনিকেও চান্স পায় নাই। শেষ পর্যন্ত আর কোন গতি করতে না পেরে তাকে নরমাল কলেজে ভর্তি করায় দেয়া হইছিলো। তবে নরমাল কলেজ থেকে পাশ কোলে অন্যদের যেসব সমস্যা হয়। আইনস্টানেরও একই সমস্যা হলো। তাকে কেউ চাকরি দিতে চায় না। বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা বের করার উদ্দেশ্যে, টিচার যাতে হইতে পারে তাই একটা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হইছিলো। সেই ডিপ্লোমা কোর্স শেষ হবার পরে, অন্য সবাই টিচারের চাকরি পেয়ে গেলেও, আইনস্টাইন বেচারার কপালে চাকরি জুটতেছিলো না। কত রকমের চাকরির ইন্টারভিউ দেয়, কিন্তু কোন লাভ হয় না। এমনকি ইন্সুরেন্স কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবেও রিজেকশন খাইছিলো।

কিছুদিন বেকার থাকার পরে, সামারে খন্ডকালীন টিচার হিসেবে দুই মাসের একটা চাকরি পাইছিলো। ভাবছিলো সেটা হয়তো ফুল টাইম করে ফেলবে। কিন্তু না। দুই মাস শেষ হয়ে গেলে, যেই লাউ সেই কদু। আবারও বেকার। এখন কি করবে যুবক আইনস্টাইন? জীবন বাঁচাতে অন্য সবাই যা করে, সেও তাই শুরু করে দিছিলো- টিউশনি করা। এইভাবে এক দুই দিন না, পুরা দুই বছর পড়ে থাকতে হয়েছিলো তাকে। দুই বছর পরে তৃতীয় শ্রেনীর সরকারী কেরানী হিসেবে একটা চাকরি জোগাড় করতে সামর্থ হইছিলো সে।

চাকরি পেয়ে যাবার পরে অন্যরা যা করে, সেও তাই করলো। বিয়ে, ঘর সংসার করে। কিছুদিন না যেতেই দুই সন্তানের বাপ হয়ে গেলো সে। তবে কেরানির চাকরির পাশাপাশি রাতে বাসায় এসে থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের গবেষণা এবং বউয়ের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলা পাবলিশ করার চেষ্টা করতো সে। সরকারী কেরানীর চাকরী সাত বছর করার কারণে নয় বরং কেরানির চাকরির পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন নিয়ে চেষ্টা করে যাওয়ার কোরানেই সাত বছর পরে ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখে প্রফেসরের চাকরীর অফার পায়। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে, আমাদের মতো হতাশ হয়ে বসে থাকলে- সে কোনদিনও আলবার্ট আইনস্টাইন হতে পারতো না।

সো, ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করলে, হতাশ হবার কিচ্ছু নাই। কারণ, নামকরা ভার্সিটিতে না টিকলে, আইনস্টাইন হয়ে যাবার চান্স বেড়ে যাবে।

সঙ্গেই থাকুন::

হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে


FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]