দুঃখজনক হলেও সত্যি আইনস্টাইনের মতো ব্যাটা পলিটেকনিকেও চান্স পায় নাই। শেষমেশ একটা নরমাল কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু সেখান থেকে পাশ করার পর চাকরি পায় না। বিকল্প উপায় হিসেবে টিচার হওয়ার জন্য ডিপ্লোমা কোর্স ভর্তি হয়। ডিপ্লোমা শেষ করার পরে অন্যদের চাকরি হয় কিন্তু বেচারা আইনস্টানের চাকরি হয় না। কয়বছর বেকার থাকার পরে- সরকারি কেরানির চাকরি করতে বাধ্য হয়েছিলো সে।
এক ঘন্টার একটা পরীক্ষা জীবনের সবকিছু ডিসাইড করে দেয় না। বড়োজোর নেক্সট চার-পাঁচ বছর কই ঘুমাবা সেটা ঠিক করে দিতে পারে। মনে রাখবে- কোন ভার্সিটিই কারো লাইফ গড়ে দেয় না। আবার কোন ভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে কারো লাইফ ধ্বংস হয়ে যায় না। বরং যে যেই ভার্সিটিতে যায়, সেই ভার্সিটির করিডোরে বসে বসে, তার লাইফ তাকেই গড়ে তুলতে হয়। হয়তো কোন ভার্সিটির করিডোরে ছায়া একটু বেশি থাকে আর কোন ভার্সিটির হয়তো করিডোরে গরম একটু বেশি লাগে। ডিফারেন্স এইটুকুই।
লাইফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে- HSC আর ভর্তি পরীক্ষার মাঝের চার-পাঁচ মাস। এই কয়েকটা দিন টার্গেট ঠিক রেখে অমানবিক পরিশ্রম করে কেউ কেউ জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ হালকা ঢিলামি বা ভুল পথে গিয়ে স্বপ্ন চুরমার করে খালি হাতে বাড়ি ফিরে। তবে আর্টস কমার্সের তুলনায় সায়েন্সের স্টুডেন্টদের অপশন বেশি থাকায়, তাদের দোটানায় পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মাঝারী মানের স্টুডেন্টদের ফিউচার নষ্ট করার জন্য কোচিং সেন্টারগুলোই অনেকাংশে দায়ী। তারা ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন বইয়ের কোনাকানি থেকে বিদঘুটে জিনিসগুলো খুঁজে এনে, লম্বা লম্বা লেকচারশিট বানিয়ে ভালো স্টুডেন্টদের আরো ভালো বানাতে। কিন্তু একই সময়ে, মাঝারি মানের স্টুডেন্টদের যে পেট খালি সেদিকে খেয়াল করার মত সময় তাদের থাকে না। আর তাই ভালো স্টুডেন্টদের জন্য বানানো লেকচার-ক্লাসটেস্ট খালি পেটে গিলতে গিয়ে, মাঝারি মানের স্টুডেন্টরা গ্যাস্টিক-আলসার বাড়িয়ে হতাশ হয়ে কোচিং ছেড়ে পালায়।
Target is the need to achieve success
Care, Curisity, Courage and Control for student life
প্রেম রিলেটেড প্রশ্ন, হতাশা কিংবা কনফিউশন রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর
শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।
নাকানি চুবানি খাইতে খাইতেও মানুষ হইতে পারলাম না। ড্রিম জব ল্যান্ড করাতো দুরের কথা।
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]