কোন একটা বিল্ডিং এ কয়টা রুম, কয়টা দরজা-জানালা থাকবে, সেটা নিয়ে একটা প্ল্যান বানানোর সাথে সাথে যদি কাজ শুরু করে না দেন, তাহলে কয়দিন পরে কি প্ল্যান করছিলেন সেটাই ভুলে যাবেন। ছয় মাস পরে হুট করে সেই বিল্ডিং এর কথা মনে পড়লে, নতুন আরেকটা প্ল্যান বানাবেন। এইভাবে ছয় মাস পর পর নতুন নতুন প্ল্যান বানানোর পরেও বিল্ডিং এর কাজে হাত না দিলে, একটা রুমও তৈরি হবে না। মাসে মাসে কাড়ি কাড়ি ভাড়ার টাকা কামানোর স্বপ্নও সফল হবে না। বরং বাড়ির ডিজাইন ফাইনাল করতে না পারলে, কোন আর্কিটেক্ট এর কাছে যান। যত দ্রুত সম্ভব প্ল্যানের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে, ইট, বালি, সিমেন্ট দিয়ে বিল্ডিং বানানোর কাজ শুরু করে দেন। কাজ যত দ্রুত শুরু করে দিবেন, বিল্ডিং তত দ্রুত শেষ হবে। ভাড়ার টাকাও তত দ্রুত কামাইতে পারবেন। বিল্ডিং বানানোর কাজ শুরু না করে, খালি প্ল্যানের পর প্ল্যান বানাইতে থাকলে যেমন কোনদিনও ভাড়া পাবেন না। তেমনি আপনার স্বপ্নের পিছনে না ছুটে, একটার পর একটা প্ল্যান বানাইতে থাকলে আপনার স্বপ্ন কোনদিনও বাস্তবায়ন হবে না।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের স্বপ্নগুলো প্ল্যানের টেবিলেই মারা যায়। কোন একটা ড্রিমের পিছনে ছোটার জন্য দুই-এক লাইন প্ল্যান বানানোর পরে আমরা এত বেশি টায়ার্ড হয়ে যাই যে পরের ছয় মাস আর কোন খবর থাকে না। কোন একটা কাজ কিভাবে করবো সেটা নিয়ে কনফিউশন থাকার কারণে, কি করতে চাই সেটাই ভুলে যাই। একবার দুইবার না, বারবার ভুলে যাই। এই প্ল্যান আর ভুলে যাওয়ার দুষ্টু চক্র থেকে বের হইতে হইলে, যে লাইনে স্বপ্ন দেখতেছেন সে লাইনের আর্কিটেক্ট এর কাছে যান। আর্কিটেক্ট না পাইলে, কোন রকম গোঁজামিল দিয়ে সফল হইছে এমন কারো কাছে যান। সেটাও করতে না পারলে, অন্য কারো কাজের স্টাইল দেখে, লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটা আউটলাইন বানিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
মনে রাখবেন, বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন দেয়ার আগেই বিল্ডিং এর সব ইট বালি রড যেমন যোগাড় করে ফেলা লাগে না, তেমনি আপনার লক্ষ্যের কাজ শুরু করে দেয়ার আগে, সব কিছুর প্ল্যান পুঙ্খানুপুঙ্খ সেট করা লাগবে না। একটার পর একটা ইট দিয়ে বিল্ডিং বানাবেন আর এক স্টেপ এর পর আরেক স্টেপ পার করে লাইফের টার্গেট এচিভ করবেন। মাঝপথে সিচুয়েশন চেইঞ্জ হইলে, প্ল্যানও চেইঞ্জ করবেন। তবে টার্গেট এচিভ করতে হলে, অবজেক্টিভ ঠিক রেখে এক্টিভিটিস সর্বদা চালু রাখতে হবে।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]