আত্মবিশ্বাসের কোন ট্যাবলেট নাই। মন্ত্র নাই। কোন ভিডিও বা মোটিভেশনাল লেখাতে যতটুকু আত্মবিশ্বাস গজায়, সেটা লেখা শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে যায়। কারণ আত্মবিশ্বাস মনের জোর না, ট্রেনিংয়ের জোর। কনফিডেন্স ম্যাজিক পিল না, ডেভেলপ করা স্কিল। এটা কাজ শুরু করার ইনপুট না, আউটপুট।
তোমার মন খারাপ, মাথা গরম, কিংবা ভালো না লাগার জন্য তুমিই দায়ী। অন্য কেউ না। যেমন ধরো, কেউ তোমাকে অন্যায়ভাবে গালি দিলে তুমি ক্ষেপে যাবে। মন খারাপ করবে। তবে কোন পাগল গালি দিলে তুমি কিন্তু ক্ষেপে যাবে না, বা মন খারাপও করবে না। বরং ইগনোর করবে। অথচ দুইজনেই তোমাকে গালি দিছিলো।
কোন কিছু চেষ্টা না করার প্রধান কারণ হচ্ছে, ভয়। ব্যর্থ হবার ভয়, পরাজিত হবার ভয়। ঠাট্টা-তামাশার পাত্র হবার ভয়। সেই ভয়কে জয় করে একের পর এক চেষ্টা, যে করে যেতে পেরেছে, সে ই সফল হইছে।
এই দুনিয়াতে তোমার একমাত্র আপন জিনিস হচ্ছে- তোমার শরীর। তুমি যতদিন দুনিয়াতে থাকবে, ততদিনই তোমার শরীর তোমার সঙ্গে থাকবে। তাই তোমার ভালো ফিল করা, কম্পিটিটিভ থাকা ডিপেন্ড করবে তোমার শরীরের ভালো থাকার উপরে। শরীর ঠিক রেখে, কাজে মনোযোগ বাড়ানো যায়। আবার শরীরকে ঠিক রেখে হতাশা, মন খারাপ, বদ অভ্যাসও দূর করা যায়।
জীবনের প্রতি আপনার বিতৃষ্ণা আসতেই পারে। এমন কিছু করে ফেলতে পারেন বা ঘটে যেতে পারে যার কারনে আপনি নিজেকেই নিজে ঘৃনা করছেন। আপনার সব স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেতেই পারে। বাচার একমাত্র অবলম্বন যা ছিলো তাও খুইয়ে ফেলতেই পারেন। সবচয়ে কাছের মানুষটা বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারে।
আপ্নে মানুষ হইলে, আপ্নার মেজাজ খারাপ হইবেই। আর মেজাজ খারাপ হইলেই, মনডা চায় গিয়া ঠাটায়া কইসা কইসা ধুমধাম কয়েকটা চড় দেই। আর হাই লেভেলের মেজাজ খারাপ হইলে, কাইট্টা কুচি কুচি কইরা নারায়ণগঞ্জ পাঠায়া দিয়ে ইচ্ছা করে।
ফেইসবুকের হোম পেইজে নতুন কোন পোস্ট নাই তাও বার বার হোম পেইজে স্ক্রলিং করেই যাচ্ছেন, যেটা করা দরকার সেটা বাদ দিয়ে আড্ডাবাজি-ফাঁকিবাজি, পর্ণ দেখে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। এইসব কাজ যে করা উচিত না, সেটা কিন্তু ভালো করেই আমরা জানি এবং বুঝি। তারপরেও করতে থাকি।
যেকোনো সমস্যা, ব্যর্থতা, পরাজয়, ভয় পাবার সাথে সাথে সেটা অনুধাবন করতে হবে। মাথার মধ্যে নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে চুপ করে বসে থাকা যাবে না। নেগেটিভ চিন্তার ফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত উঠাবসা করা যাবে না। নিজের দোষ, অন্যের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবনকে তুলনা করে হাত পা ছেড়ে বসে থাকা যাবে না।
প্রিয়জন অন্য কারো প্রিয় হয়ে গেলে, ফ্যামিলি থেকে দুরে যাওয়া লাগলে বন্ধুরা সব পাশ করে ফেল্লে, বা অচেনা কোন শহরে গেলে, আপনি নিসঙ্গ হয়ে যান। এই নিসঙ্গতার ফার্স্ট স্টেপই আমরা হাত পা ছেড়ে দিয়ে হা হুতাশ করি কয়েকদিন যাওয়ার পর লোনলি ফিল করি, ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে তৈরী করি কাছের মানুষদের সাথে দূরত্ব আরো বেড়ে, যোগাযোগের তারগুলো লুজ হয় যায়।
কারণ যেটাই হোক না কেনো, নিজের ভিতরে ফ্রাস্ট্রেশনের বীজ বুনতে দেয়া যাবে না। এই ফ্রাস্ট্রেশনের তীব্রতা যত বেশি হবে, লাইফের ফোকাস ঠিক রাখা তত কঠিন হবে। ফ্রাস্ট্রেশন থেকে নিজেকে দুরে রাখতে গেলে, যেকারণে ফ্রাস্ট্রেশন হচ্ছে সেটা ভুলে থাকতে হবে। কিন্তু সেই জিনিস ভুলা অত্ত সহজ না।
জীবনে দুই-একবার ব্যর্থ হইলে, উপহাসের পাত্র হইলে, মুখের খাবার অন্য কেউ কেড়ে নিলে- আমরা হতাশ হয়ে যাই, লজ্জায় মুখ লুকিয়ে ফেলি, চ্যালেঞ্জিং অপশনটা বাদ দিয়ে, সহজ রাস্তা খুঁজি।
Target is the need to achieve success
চেষ্টার নেশা, সফলদের একমাত্র পেশা
সময়ের এক ফোঁড়, কমাবে হতাশার ঘোর
Care, Curisity, Courage and Control for student life
প্রেম রিলেটেড প্রশ্ন, হতাশা কিংবা কনফিউশন রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]