আবেগের মায়াজালে ফেলে কিংবা পরিস্থিতি তৈরী করে কারো কারো অকল্পনীয় ক্ষতি করে ফেলে কেউ কেউ। দুঃর্বিসহ সেই মুহূর্ত, ঘন্টা বা দিনগুলি পার করার চাইতে বহু গুন কষ্ট হয় সেইসব স্মৃতি বয়ে বেড়াতে। না পারে কাউকে বলতে, না পারে কারো কাছ থেকে একটু সহযোগিতা নিয়ে জীবনটাকে সামনে এগিয়ে নিতে। সিচুয়েশনটা কারো কাছে এক্সপ্লেইন করতে গেলে বা হেল্প চাইলে আরো বিপদ। এমনভাবে ট্রিট করে জেনো ভিক্টিমেরই সব দোষ। একদিন দুইদিন, এক সপ্তাহ দুই সপ্তাহ পরে অনেকেই ভুলে গেলেও যার সাথে অন্যায় হয়েছে সে ভুলতে পারে না। ভিতর থেকে কুঁকড়ে কুঁকড়ে কামড়াতে থাকে স্মৃতিগুলো। ধীরে ধীরে দুরের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ কমে যায় আর কাছের বন্ধুগুলো আরো দুরে সরে যেতে থাকে। মনের মধ্যে বাসা বানাতে শুরু করে লোনলিনেস, হারিয়ে যেতে থাকে কনফিডেন্স। সময়ের সাথে সাথে হতাশার পরিমাণ চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ে। কিছুদিন গেলে মনে নয়, বেচে আছি কিসের তরে?
কারণ যেটাই হোক না কেনো, নিজের ভিতরে ফ্রাস্ট্রেশনের বীজ বুনতে দেয়া যাবে না। এই ফ্রাস্ট্রেশনের তীব্রতা যত বেশি হবে, লাইফের ফোকাস ঠিক রাখা তত কঠিন হবে। ফ্রাস্ট্রেশন থেকে নিজেকে দুরে রাখতে গেলে, যেকারণে ফ্রাস্ট্রেশন হচ্ছে সেটা ভুলে থাকতে হবে। কিন্তু সেই জিনিস ভুলা অত্ত সহজ না। বরং যত বেশি ভুলতে চাইবেন তত বেশি মনের দরজায় এসে কড়া নাড়বে আর ফ্রাস্ট্রেশন বাড়িয়ে দিবে। তাই ভুলার চেষ্টা না করে, অন্য কিছুর সাথে নিজেকে ইনভলভ করতে পারলে, ব্যস্ত হয়ে গেলে, কাজ করতে করতে ফুসরত না পাইলে। দুঃসহ স্মৃতিটা মনের দরজায় কড়া নাড়ানোর চান্স পাবে না।
আমার বউ বলে দিয়েছে:: ফ্রাস্ট্রটেড হইলে- ভালো ড্রেস আপ করে বা ফিটফাট হয়ে বের হইতে হবে। ছেলেরা সেইভ বা চুল কেটে করে আর মেয়েরা সাজুগুজু করলে নিজের ভিতরেই একটা ফ্রেশনেস চলে আসে
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]