কোন জায়গায় ফ্লাইওভার বানাইতে চাইলে, সেখানকার রাস্তার অর্ধেক জায়গা ফ্লাইওভার বানানোর জন্য ছেড়ে দিতে হয়। তখন ঐসব রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম চারগুণ বেড়ে যায়। বিশ মিনিটের রাস্তায় তিন ঘন্টা বাসে বসে বসে গরমে সিদ্ধ হতে হয়। এইভাবে তিন-চার বছর কষ্ট হজম করার পরে, ফ্লাইওভার দিয়ে শো শো করে উড়ে যাবার সুযোগ আসে। একটু বাড়তি গঞ্জনা সহ্য করতে না চাইলে, একটু জায়গা- একটু সময় ছেড়ে না দিলে, ফ্লাইওভার কোন দিনও তৈরী হবে না। আর সেটা দিয়ে শো শো করে উড়ে যাবার চান্সও আসবে না।
আপনার এখন যত টাফ টাইম যাক না কেনো, যত ব্যস্ত থাকেন না কেনো, সেখান থেকে কিছু সময় বের করে নিতে হবে। আড্ডা, আরাম আর চারপাশের মজাগুলোকে কিছুদিনের জন্য আলমারিতে উঠিয়ে রেখে, কষ্ট আর পরিশ্রমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। হয়তো মাসিক বাজারের খরচটা কমিয়ে আনলেন, ডাল-ডিমের পরিবর্তে শুধু ডাল দিয়ে ভাত খেলেন, বন্ধুর বার্থডে পার্টিতে যাওয়ার মেসেজ দেখেও দেখার পরেও mark as unread করে রাখলেন। পাওনাদারকে আরো কিছু দিন ঘুরালেন। বাড়িওয়ালার ফোন না ধরে বেশি রাত করে মেসে ফিরলেন। আর দিনরাত যতটুকু সময় পেলেন, সেটুকুতেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাধনায় লেগে থাকলেন। এভাবে, কষ্টের গুড় যত বেশি ঢালবেন, সুখের শরবত তত বেশি মিষ্টি হবে। সেই লেভেলের ডেডিকেশন দিয়ে সাধনায় নেমে পড়তে না পারলে, সুখের পাখি কোনদিনও আপনার উপরে উড়ে এসে জুড়ে বসবে না। তখন, অন্য পাড়ার অনন্য সাহেবের সুখে লাইক দিয়ে দিয়ে বাকি জীবন কাটাতে হবে।
সাহসে না কুলাইলে, টাইম না পাইলে, স্বপ্ন দেখে আরো এক্সট্রা সময় নষ্ট করবেন না। বরং যা করতেছেন তা করতে করতে কবরে চলে যান। টাটা বাই বাই। আর জেনো দেখা না পাই।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]