ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকার পাল ছিড়ে গেলে, ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে তীরের উল্টোদিকে যাওয়া শুরু করলে, মাঝির মাথা গরম হতেই পারে। ঐ একই সময়ে নৌকার তলা ফুটা হয়ে গেলে চুপচাপ বসে থাকা যাবে না। কোনটার আগে কোনটা করা উচিত, সেটা নিয়ে কনফিউজড হয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না। বরং সবচেয়ে বেশি বিপদজনক এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে সবার আগে নৌকার ফুটা বন্ধ করতে হবে। এই সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে পরবর্তী সমস্যায় হাত দিতে হবে। তবে মোস্ট ইম্পরট্যান্ট প্রবলেম সাইডে রেখে নৌকার পাল জোড়াতালি দিতে গেলে, সব যাত্রী নিয়ে ডুবে মরতে হবে।
ঝড়ের কবলে পড়া মাঝির মতো আমাদের লাইফেও অনেক সমস্যা আছে। তবে স্মার্ট মাঝির মতো আমরা মোস্ট ইম্পরট্যান্ট প্রবলেম সলভ করার চেষ্টা করি না। বরং সব প্রবলেম এক সাথে সলভ করতে গিয়ে সমস্যার কুল কিনারা খুঁজে পাই না। হতাশায় মাথা হ্যাং হয়ে যায়। রিস্টার্ট দিলেও সমস্যার ভাইরাস দূর হয় না। তাই এক গুদাম সমস্যা থাকলেও মেইন প্রবলেম খুঁজে বের করে সেটা সমাধানের দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। সমস্যার গভীরে গিয়ে সমস্যার আসল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কেনো হয়েছে, কি কারণে হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করার জন্য সিরিয়াস লেভেলের এনালাইসিস চালাতে হবে। সমস্যা স্বীকার করে অন্যদের কাছে হেল্প চাইতে হবে। অথচ আমরা সমস্যার কথা স্বীকার না করে ভুজুংভাজুং মেরে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করি। পেটের ভিতরে লুকিয়ে রেখে সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর বানাই। নিজেদের চোখে মুখে অন্ধকার দেখার ব্যবস্থা নিজেরাই করি।
যেকোনো সমস্যা, ব্যর্থতা, পরাজয়, ভয় পাবার সাথে সাথে সেটা অনুধাবন করতে হবে। মাথার মধ্যে নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে চুপ করে বসে থাকা যাবে না। নেগেটিভ চিন্তার ফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত উঠাবসা করা যাবে না। নিজের দোষ, অন্যের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবনকে তুলনা করে হাত পা ছেড়ে বসে থাকা যাবে না।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]