এই দুনিয়াতে তোমার একমাত্র আপন জিনিস হচ্ছে- তোমার শরীর। তুমি যতদিন দুনিয়াতে থাকবে, ততদিনই তোমার শরীর তোমার সঙ্গে থাকবে। তাই তোমার ভালো ফিল করা, কম্পিটিটিভ থাকা ডিপেন্ড করবে তোমার শরীরের ভালো থাকার উপরে। শরীর ঠিক রেখে, কাজে মনোযোগ বাড়ানো যায়। আবার শরীরকে ঠিক রেখে হতাশা, মন খারাপ, বদ অভ্যাসও দূর করা যায়।
তুমি যত বড় হতাশাতেই থাকো না কেনো, শরীরটাকে একটু ঝাঁকি দাও। ঝাঁকি দিলে প্রথম দিন তোমার শরীরের সব জয়েন্টে, সব পয়েন্টে হালকা ব্যথা করবে। তবে তোমার কাজ হবে পরেরদিনও একই সময়ে শরীরকে ঝাঁকি দেয়া। এইভাবে টানা পাঁচদিন একই সময়ে শরীরকে ঝাঁকি দিলে তুমি তিনটা জিনিস বুঝতে পারবে- ১: তুমি কখন কি করতে চাও সেটা মনে রাখতে পারো, ২:তুমি অন্য যেসব কিছু দ্বারা ডিস্ট্রাকটেড হয়ে যাও সেগুলা একটা নির্দিষ্ট সময়ে স্টপ করাতে পারো, ৩: অন্তত একটা কাজ হলেও- তুমি যে সময়ে করতে চাও, সে সময়ে করতে পারো।
শরীরকে ঝাঁকি দেয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে 7 Minute Workout অ্যাপ। জাস্ট ৭ মিনিট ই তো। অ্যাপ যা যা করতে বলবে, তা তা করার চেষ্টা করবা। এমনভাবে করবা যাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। মাংসপেশিতে নাড়াচাড়া পড়ে, জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস আনা-নেয়া করা লাগে।
এই কাজটা টানা পাঁচ দিন করবে। এইটা হচ্ছে প্রাথমিক স্টেপ। সেকেন্ড স্টেপ হচ্ছে এইটাকে আরো দুই সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। এবং ৭ মিনিট এক্সারসাইজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মোবাইল অফ করে দিবে। মোবাইল অফ করার সাথে সাথে তোমার যে কাজ করার কথা সেই কাজ শুরু করে দিবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার ঐ দিনের টার্গেট ফিনিশ না হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল অন না করা। দুনিয়া উল্টে গেলেও মোবাইল অন করা যাবে।
মনে রাখবে- ফিউচার কন্ট্রোল করার জন্য দুইটা জিনিস কন্ট্রোল করাই যথেষ্ট- এক, মোবাইল আর দুই, তোমার শরীর। এই দুইটা কন্ট্রোল করতে পারলে, প্রোকাস্টিনেশন, ডিস্ট্রাকশন, ফ্রাস্ট্রেশন, এডিকশনসহ যত শন আছে সব ভন ভন করে উড়ে যাবে।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]