প্রেমের চক্কর

ফেইক লাভ গুরু -১

ফেইক লাভ গুরুর মূল পেইজ

প্রশ্ন::

vai,khub depression a vugtaci...ssc te 89% marks paicilam tarpor prem er chokkore poira hsc er test exam a 1 subject a fail....ek bar vabci sob chaira diya abar study suru krbm but khub relation khub deep hoya geche,na partaci charte,na partaci study krte,kicchu partaci na...r 2.5 month por exam...sara bochor kicchu pori nai...akhn sob kichu notun koira suru korteo voy lagtache...apnar ager koyekta status deikha study suru korchilam but bar bar bertho hoitachi...plzzz vai, time paile ekta solution diyen...

আমার উত্তর::

১. যে প্রেম আপনার বেসিক কাজে বাধা হয়ে দাড়ায়, সে প্রেম টিকবে না। সো, ডাম্প হার/হিম। আপনি ডাম্প না করলে, ছয় মাসের মধ্যে, শি/হি উইল ডাম্প ইউ। আমি লিখে দিলাম। একটা রিলেশন যদি আপনাকে সামনে বাড়াতে সহযোগিতা না করে, অনুপ্রেরণা না দেয়, তাইলে সেটা মোবাইল কোম্পানির ব্যান্ডউইথ ব্যবসায় লাভ ছাড়া আর কারো কোনো কাজে আসবে না। এই মোহ ছুটে যাবে, শীগ্রই ছুটে যাবে।

২. আপনি যদি এই বছর পাস করতে না পারেন। পরের বছরও পারবেন না। আপনার রিলেশন চলতে থাকলে, আপনার কথার স্টাইল মতে, পরের বছর আরো ডিপার হবে। তখন তো আরো টাইম পাবেন না। সত্যি বলতে কি, আপনি যখন HSC ফেল করলে বা পরীক্ষা না দিলে, ছয় মাসের মাথায় আপনার প্রেম ছুটে যাবে। তখন, ছ্যাকু বাবু হয়ে, মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন না। পরের বারও ফেল। দুইবার ফেল করলে, বাসা থেকে বের করে দিবে। চিন্তার কোনো কারণ নাই, মেট্রিক পাশ দিয়ে, গার্মেন্টস সহ দেশে অনেক ভালো চাকরির ব্যবস্থা আছে।

৩. "সারা বছর কিচ্ছু পড়ি নাই এবং সবকিছু নতুন করতে হবে" - এই কথা দুইটা ভুল। টেস্টে-তো ১ সাবজেক্টে ফেল করছেন। তারমানে, বাকিগুলাতে পাশ করছেন। ওইগুলা কি আপনার উনি এসে পরীক্ষা দিয়ে গেছে। নাকি প্রশ্ন ফাঁস পাইছেন। দশটা যে পাশ করছেন, সেটা চোখে লাগে না।

৪. এক বা একাধিক মানুষ কোনো একটা সিচুয়েশন তৈরি করে। এই সিচুয়েশনকে দেখে- আমি, আপনি, আমরা অনেকেই নিজেদের ভিতরে নিজেরাই একটা ভয় তৈরি করি। নিজে থেকেই বলি, আমি এইটা ভয় পাই। মনে হয়, আমি পারবো না। তারমানে, ভয়টা আপনি নিজেই, নিজের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। আপনি যদি নিজের উপর ভয় চাপাতে পারেন, তাইলে সেটা সরাতেও পারবেন। জীবনে চলার পথে এই রকম শত শত সিচুয়েশন আসবেই। সবগুলোকে ভয় পাইলে, আম্মুর কোলে বসে ফিডার খাওয়া ছাড়া দুনিয়াতে আপনার আর কিচ্ছু করা লাগবে না। তাই, এই ভয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে, নিজের ভিতরে একটা চাপা ক্রোধ তৈরি করতে হবে। সেটা না করতে পারলে, দিনকে দিন ভয় একটু একটু করে আপনাকে গিলে ফেলবে। আপনি ভয়ের পেটের মধ্যে হজম হয়ে, পায়ু পথে, গন্ধময় কিছু হয়ে বের হয়ে যাবেন।

৫. আপনি যদি এই যাত্রায় ভালো করতে চান। সময় শেষ হয়ে যায়নি। যতটুকু টাইম বাকি আছে, ঠিক ততটুকু টাইমই আপনার দরকার। শুরু করেন, আজকে এই মুহূর্ত থেকে। আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা। কয় ঘন্টা ঘুমায়ছেন, কয় ঘন্টা রেস্ট নিচ্ছেন, সেটার হিসাবে নয়। বরং এইটা যদি আপনার সামর্থ্যের, আপনার যোগ্যতার লড়াই হয়। তাইলে, জান-প্রাণ দিয়ে, অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামলে, আপনি ঠিকই টিকে যাবেন।

৬. আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন। ভয়ের পেটে নিজেকে সপে দিবেন নাকি তার বিরুদ্ধে বুক চেতিয়ে বলবেন, I choose to fight back

৭. সব ছাইড়া দিয়া পড়ালেখা করার মুরোদ আপনি না। সেটা করে উঠতে পারবেন না। টক উইথ ইউর bf/gf. উনাকে বুঝান আপনার জীবনে, উনার প্রয়োজন কতটুকু। আপনি উনাকে কতটুকু চান। এবং আপনাদের দুইজনের জন্য, আপনার লাইফের এই স্টেজটা ভালোভাবে উতরানো কতোটা ইম্পর্টান্ট সেটা বুঝান। তারপর প্রতিদিন কথা বলার নির্দিষ্ট টাইম সেট করুন। ডেটিংগুলো কমিয়ে দেন। বা কথা বলার সময় পড়ালেখা নিয়ে প্রেম করেন (একটু কম রোমান্টিক) কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে করতে হবে। সেটাতে রাজি না হইলে, জাস্ট ওয়াক এওয়ে ফ্রম দিস রিলেশন।

৮. পরীক্ষা আপনাকে এইবারই দিতে হবে এবং সেটা ভালোভাবে পড়েই দিতে হবে। এইবার যদি পাশ করতে না পারেন, পরেরবারও পারবেন না। গ্যারান্টি।

ডিসক্লেইমার, লেখক প্রেম-গুরু বা লাইফ কোচ নহে।


FB post