ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থতার সমুদ্রে হাবুডুবু খেয়ে বছরের পর বছর তিরস্কার আর উপহাসের পাত্র হয়ে বাংলাদেশ টিম জিতার আশা ছেড়ে দিলে- আজকে কেনিয়া বা জিম্বাবুয়ের মত আনকোরা লেভেলে পড়ে থাকতো। ওদের মত ধুকে ধুকে নিশ্বাস নিতো। কিন্তু বাংলাদেশ টিম সেটা করেনি। ৫৮ রানে অল-আউট হইলেও, ২৩৩ রানে হারলেও পরের দিন সাহস করে আবারও খেলতে নেমেছে। উপহাস, অবহেলা আর তিরস্কারের পাহাড়কে চুপ করে মেনে নিয়ে নিজেদের ভিতরে আগ্নেয়গিরির অগ্নিশিখাটারে তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণতর করে তুলেছে। উপেক্ষার পাহাড় থেকে চাপা ক্রোধের বারুদ জমাট করে ঘন্টার পর ঘন্টা রৌদ্রে পুড়ে প্রাকটিস করেছে, পরিশ্রম করেছে, সাধনা চালিয়েছে। সেই সাধনার ফল আজকে পাচ্ছে।
অথচ জীবনে দুই-একবার ব্যর্থ হইলে, উপহাসের পাত্র হইলে, মুখের খাবার অন্য কেউ কেড়ে নিলে- আমরা হতাশ হয়ে যাই, লজ্জায় মুখ লুকিয়ে ফেলি, চ্যালেঞ্জিং অপশনটা বাদ দিয়ে, সহজ রাস্তা খুঁজি। ব্যবসা ছেড়ে চাকরি ধরি। কঠিন সাবজেক্টটা বাদ দিয়ে সহজে পাশ করার সিস্টেম করি। টাফ জব টাতে জয়েন না করে, কম বেতনের আরামের চাকরিটা নিয়ে থাকি। সেজন্যই আমাদের জীবনের অর্জন হয় সীমিত। গর্ব করার বাক্স থাকে খালি। সেই গর্বের বাক্সটিকে ভরাট করতে হলে, আমাদেরকেও নিশ্চিত ব্যর্থতার সমুদ্রে ঝাপ দিতে হবে। নিজের ভিতরে চাপা ক্রোধের আগ্নেয়গিরির তপ্ত লাভা সঞ্চয় করে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন সাধনা চালিয়ে যেতে হবে। তবেই সেই ব্যর্থতার সমুদ্রে নতুন চর জাগবে আর পতপত করে উড়বে বিজয়ের পতাকা।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]