কোন একটা লাইভ টিভি প্রোগ্রাম কিংবা বিশাল একটা কনসার্ট শুরু হবার পাঁচ মিনিট আগে, আপনাকে যদি বলে- এই মুহূর্তে স্টেজে পারফর্ম করতে হবে। আপনি কি পারবেন? না পারবেন না। ভয়ের চোটে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলবেন। অথচ এই আপনিই, কেউ সুযোগ দিচ্ছে না বলে মাসের পর মাস ঘ্যানর ঘ্যানর করতেছেন। আসলে যারা সুযোগ পাইনা বলে চিল্লাচিল্লি করে, তাদেরকে সুযোগ দিলেও সেটা কাজে লাগাতে পারবে না। তাই সুযোগের জন্য কমপ্লেইন না করে নিজের সামর্থ্য বাড়ান। সামর্থ্যকে সুযোগের চাইতে বড় করে তোলেন। তাইলে, সুযোগ আপনা আপনিই চলে আসবে।
আপনি যেটাই করতে চান না কোনো। যে স্বপ্নই দেখেন না কোনো। কোন কিছুই সহজ না। কোন কিছু চাইলেই ফ্রি ফ্রি পেয়ে যাবেন না। কারণ, ইটস হার্ড। ইটস টাফ। ইটস রিয়েল ওয়ার্ল্ড। সেজন্যই আপনার আশেপাশের কেউই কঠিন রাস্তায় নামতে চায় না। নিজেদেরকে কমফোর্ট জোনের বাইরে নিয়ে যেতে চায় না। পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবসে ঘুরে বেড়ানো সহজ বলেই, লাখো লাখো মানুষ ঘুরে বেড়ায়। আড্ডা দেয়, সেলফি তোলে। অল্প কিছু মানুষ, যারা নিজেদেরকে কমফোর্ট জোনের বাইরে নিয়ে যেতে চায়। নিজেদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। ডিফারেন্ট কিছু করতে চায়। তারাই ঘুরাফেরা বাদ দিয়ে পহেলা বৈশাখের মঞ্চে উঠে দাড়ায়। গলা ছেড়ে গান গাইতে চায়। প্রাণ খুলে নাচতে চায়। এই গান গাওয়া, নাচতে চাওয়া, পারফর্ম করা, পহেলা বৈশাখের আগের দিন চাইলে হবে না। ফসল ঘরে তুলতে হলে, মৌসুমের শুরুতেই বীজ বুনতে হবে। জীবনে স্পেশাল কিছু হইতে চাইলে, ড্রিম ফুলফিল করতে চাইলে, স্টুডেন্ট লাইফেই স্বপ্নের গোড়াপত্তন করতে হবে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সেই স্বপ্নের পিছনে চেষ্টা করতে হবে। প্যাশন টাকে পিছনের পকেটে লুকিয়ে না রেখে, সামনে এনে পরিচর্যা করতে হবে। তাইলেই প্যাশনের গাছ এক দিন ফল দিবে। অন্যথায় অনুর্বর জমি হিসেবে অবহেলিত থাকতে হবে সারাটা জীবন।
আপনি হিমালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে আসছেন নাকি ঢাকার ড্রেনে ভেসে বেড়াচ্ছেন - বড় কথা না। বড় কথা হচ্ছে- আপনি টার্গেট ঠিক রেখে স্টেপ বাই স্টেপ চেষ্টার চেইন চালু রাখতে পারতেছেন কিনা। সাহস আর চেষ্টার সম্মিলন ঘটাতে পারলে, শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের বুকে আপনিও আনন্দে ভেসে বেড়াতে পারবেন।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]