ট্যালেন্ট বা যোগ্যতা দিয়ে জীবনে কিছু একটা করে ফেলবো- এমনটা আশা করে কোন লাভ নাই। কারণ দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বা যোগ্যতা দিয়ে কাউকে বিচার করা হয় না। বিচার করা হয় অর্জন দিয়ে। তোমার চারপাশে তাকালেই দেখতে পাবে- একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের আর্থিক, সামাজিক, পারিবারিক স্ট্যাটাসের ডিফারেন্স তৈরি হয় তাদের অর্জনের ডিফারেন্স দিয়ে। ট্যালেন্টের ডিফারেন্স দিয়ে না। এইটাই বাস্তবতা।
কোন কিছু কঠিন মনে হলেই লেজ গুটিয়ে পালানো যাবে না। আরাম কেদারায় বসে বসে ইন্টারনেটে সময় নষ্ট করলে, সফলতার মুকুট আপনা-আপনি ডাউনলোড হয়ে যাবে না। কাজে না নেমে আইডিয়া নিয়ে বসে থাকলে, কোটি টাকার ব্যবসা থেকে ফুটা পয়সাও কামাই হবে না।
এক ওভার বল করে কেউ বোলার হয় না। এক বেলা রান্না করে কেউ বাবুর্চি হয় না। একদিন ঘাস খেতে দিয়ে, গরুর কাছে সারা বছর দুধ আশা করা যায় না। অথচ তুমি একরাত পড়েই পাশ করে ফেলতে চাও? দিনে এক ঘন্টা সময় না দিয়েই, এক একটা সাবজেক্টের সবকিছু বুঝে ফেলতে চাও? সারা বছর ফাঁকিবাজি করেও ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেতে চাও?
জীবনকে জীবনের গতিতে চলতে দিও না। বরং জীবনের সামনে রুখে দাড়াও। সময় অপচয়ের টুটি চেপে ধরো। আজকের সকালটা, আজকের দিনটা তোমার জন্য ইফেক্টিভ না হলে, এই মাসটা, এই বছরটা তোমার জন্য ইফেক্টিভ হবে না। তাই প্রতিটা দিনের, প্রতিটা ঘন্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করো।
আছাড় না খেয়ে কেউ হাঁটা শিখে না। ল্যাং না খেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে না। ভয় কখনো জয় দিবে না। বরং পিছনে ফেলে দিবে। সংশয় নিয়ে অংশগ্রহণ করলে, কোনরকমে পার পেতে পারো কিন্তু টপ পারফর্মার হতে পারবে না।
কতবার চেষ্টা করছো, কতবার পানিতে নামছো, কতবার পড়তে বসছো, কতবার পরীক্ষা দিছো- সেটা মেটার করবে না। বরং প্রত্যেকবার চেষ্টা করার আগে, আগের বারের চাইতে ডাবল প্রিপারেশন, ডাবল শ্রম, ডাবল চেষ্টা, ডাবল স্কিল ডেভেলপ করছো কিনা- সেটা মেটার করবে। মনে রাখবে- একটা-দুইটা বাড়ি খেলে, লোহার টুকরা দেখতে দা-বটির মতো শেইপ পেয়ে যাবে না। এক-দুইদিন ঝাঁকি দিলে তোমার আলসেমির সব মরিচা ঝড়ে পড়বে না।
ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ ঠিক হওয়ার আশায় বসে থাকলে, দিন চলে যাবে, গন্তব্য কাছে আসবে না। প্রশ্ন সোজা হওয়ার ভরসায় সময় অপচয় করলে, টেনেটুনে পাশ হয়ে যাবে, স্কিল ডেভেলপ হবে না। চাকরির বাজার ভালো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলে, বাসা ভাড়ার বকেয়া বাড়তে থাকবে, অফার লেটার হাতে আসবে না।
এক দুই বার হোঁচট খাবে, অনেক অনেক চেষ্টা করেও দেখা যাবে কিছুই আউটপুট পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। জীবনে যা কিছুই করতে চাও না কেনো, একদিনে সেটা পেয়ে যাবে না।
যতই রান্নার রেসিপি, কেকা ফেরদৌসির টিভিসি, বা কেএফসি খাও না কেনো। সেইসব রেসিপি অনুসারে, তোমার রান্নার স্টাইল চেইঞ্জ না করলে; তরকারির স্বাদ, সংবাদ, বা আবাদ কোনটাই ইম্প্রুভ হবে না। পোষা গণ্ডির বাইরে না এসে, মশার মতো খোসার ভিতরে বসে ঘ্যান-ঘ্যান করলে, তোমার গান তুমি ছাড়া অন্য কেউ শুনবে না।
ধরো তুমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চাও। সেটার অভ্যাসও আস্তে আস্তে তৈরি করতে হবে। সিগারেট খাওয়া শুরু করার স্টাইলে।
আপনি হিমালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে আসছেন নাকি ঢাকার ড্রেনে ভেসে বেড়াচ্ছেন - বড় কথা না। বড় কথা হচ্ছে- আপনি টার্গেট ঠিক রেখে স্টেপ বাই স্টেপ চেষ্টার চেইন চালু রাখতে পারতেছেন কিনা। সাহস আর চেষ্টার সম্মিলন ঘটাতে পারলে, শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের বুকে আপনিও আনন্দে ভেসে বেড়াতে পারবেন।
জীবনটা জাস্ট একটা খেলার মাঠ, এখানে সফল হইতে চাইলে, লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আপনার অনেক প্রতিপক্ষ আসবে ল্যাং মারবে, ধাক্কা দিবে, পা ভেঙ্গে ফেলবে সরকারী সংস্থা এসে আপনাকে হলুদ কার্ড, লাল কার্ড দেখাবে যত্ত কিচ্ছুই হোক না কেনো, আপনাকে বলের পিছনে ছুটতে হবে
সাতার না জানাটা সমস্যা না। সাতার জানি না বলে, হাত পা ছোড়াছুড়ি না করাটা সমস্যা। নিজের হাত পা নিজে ছোড়াছুড়ি না করলে, অন্য আরেকজন এসে আপনার হাত পা ছোড়াছুড়ি করে দিবে না। আপনি ভেসে থাকার চেষ্টা না করলে আরেকজন মাথায় তুলে আপনাকে ভাসিয়ে রাখবে না।
প্রথমবার ট্রাই করার পরেও কাজ না হলে দ্বিতীয়বার ট্রাই করার আগে একটু ভেবে দেখো, আগেরবার কেনো কাজ হলো না। এইবার ট্রাই করার সিস্টেমে কি পরিবর্তন করা যায়। তারপর সেকেন্ড টাইম ট্রাই করো।
দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় মিথ্যা -"পড়ালেখা আপনাকে সফল করে তুলবে" এইটা যদি সত্যিই হতো, তাইলে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ডিগ্রীধারী লোকগুলা সবচেয়ে বেশি সফল হতো। তা কিন্তু না। বরং সফল অনেকেই ঠিকমতো গ্রাজুয়েশনই শেষ করে নাই।
গুলা-বিশেক ট্রাই করে করে খুব কাছের স্বপ্নটাকে ধরতে না পারলে, একটু এনালাইসিস করুন কেনো হচ্ছে না। অন্য কিভাবে ট্রাই করতে পারেন। রাস্তার সাইডে দাড়িয়ে একটু ভাবুন, দেখুন অন্যরা কিভাবে ক্রস করতেছে, কি কি বিকল্প উপায় আছে।
Target is the need to achieve success
Target is the need to achieve success
Care, Curisity, Courage and Control for student life
প্রেম রিলেটেড প্রশ্ন, হতাশা কিংবা কনফিউশন রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর
শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।
নাকানি চুবানি খাইতে খাইতেও মানুষ হইতে পারলাম না। ড্রিম জব ল্যান্ড করাতো দুরের কথা।
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]