ধরেন, আপনার সব ফ্রেন্ডরা স্যুট টাই পড়ে বিয়ের দাওয়াতে খেতে আসছে, আর আপনি আসছেন পুরান টি-শার্ট পড়ে। আপনার এই কন্ডিশনে আপনি এক্সট্রা ভাব নিয়ে বলতে পারেন, "গরমের মধ্যে স্যুট টাই পড়লে খুব আন ইজি লাগে"। অথবা আলাপ করার মাঝে, ভিতরে ভিতরে বুঝার চেষ্টা করতে পারেন, ওরা কি করে, স্যুট টাই ম্যানেজ করছে। আপনি কি করলে ওদের লেভেলে যেতে পারবেন। সেটা কয়েকভাবে ট্রাই করতে করতে, অন্য আরেক বিয়েতে হয়তো কারো কাছে আরেকটু হেল্প চেয়ে বসতে পারেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমরা এই দুইটার কোনটাই না করে, নিজের মধ্যে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দেই। চুপেচাপে খেয়ে বেরিয়ে আসি, যাতে কেউ দেখে ফেললে, লজ্জায় পড়তে না হয়।
এই হীনমন্যতা শুধু আর্থিক -সামাজিক প্রেক্ষাপটে নয়, জীবনের সব সিচুয়েশনেই আমরা ফিল করি। এই যেমন ধরেন, অন্যরা কিছু একটা করতে করতে অনেক দূর আগায় গেছে। সেটা কিভাবে করতে হয়, আপনি কিছুই জানেন না। আপনার মনে হয়, অন্যরা আপনার কন্ডিশন দেখলে, হাসাহাসি করবে। এই হীনমন্যতার কারণে মনের ভিতরে ভয় ঢুকে যায়। ওরা যেই লেভেলে কথা বলে, যেই লেভেলে উঠা-বসা করে, সেটার ধারে কাছেও আপনি নাই। সেই কারণে, আপনি কিছু না করে বসে বসে আঙ্গুল চুষতে থাকেন আর দিনকে দিন ওদের পিছন থেকে আরো পিছনে পড়ে যান। কিছুদিন পরে হারিয়ে যান। ওদের সাথে দেখা সাক্ষাত বন্ধ করে দেন।
এই হীনমন্যতার ভয়, লজ্জা পাওয়ার ভয় কাটানোর একটাই উপায় হচ্ছে, শুরু করে দেয়া। আপনি কি পারেন না পারেন, সেটা নিয়ে দুই একজন হাসাহাসি করতে পারে, কিন্তু সবার খেয়ে দেয়ে এত সময় নাই যে, আপনারে নিয়ে দিন রাত গবেষণা করবে। আপনি ফকির না বাদশা, কালো না ফর্সা, সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না। বরং যে অবস্থাতেই আছেন, সেখান থেকে শুরু করে দিয়ে, লাস্ট থেকে ফার্স্ট হইতে পারলে, তখন আপনি কাল্লু, বাট্টু, পেটলু, টাকলু, ভোটকু যাই হোন না কেনো, সবাই আগ বাড়িয়ে হেন্ডশেক করতে আসবে। আর আপনি তর তর করে এগিয়ে যাবেন।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]