হতাশা কমানোর উপায়

যত বেশি প্রশ্রয় দিবে, তত বেশি কুঁকড়ে খাবে

মানসিক অবস্থা রিলেটেড মূল পাতা

ফেইসবুকের হোম পেইজে নতুন কোন পোস্ট নাই তাও বার বার হোম পেইজে স্ক্রলিং করেই যাচ্ছেন, যেটা করা দরকার সেটা বাদ দিয়ে আড্ডাবাজি-ফাঁকিবাজি, পর্ণ দেখে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। এইসব কাজ যে করা উচিত না, সেটা কিন্তু ভালো করেই আমরা জানি এবং বুঝি। তারপরেও করতে থাকি। প্রতিদিন করার পরে ভাবি, আজকের পর আর করবো না। তারপরেও পরেরদিন আবার করি। কেনো করি? তার কারণ হচ্ছে, যে কাজগুলা করা উচিত বলে মনে করেন, সেগুলা আপনাকে একচাইটেড করে তোলে না, ভিতরে সত্যিকারের আগ্রহ তৈরী করতে পারেনা। সেই জন্যই সেগুলা বাদ দিয়ে হাবিজাবি কাজ করে টাইম নষ্ট করতে থাকেন দিনের পর দিন, মাসের পর মাস।

কোন কাজগুলো আপনাকে একচাইটেড করে তুলবে সেগুলা নিয়ে পঞ্চাশ জনকে জিগ্যেস করে লাভ নাই বরং চোখ কান খোলা রেখে চোখের সামনে কেউ কুল কিছু করলে আপনিও সেটা করা শুরু করেন। দরকার হইলে তার পিছু পিছু ঘুরে, হাতে পায়ে ধরে, অনলাইনে সার্চ দিয়ে সেটা করতে হবে। একদম ডাইরেক্ট কপি পেস্ট করবেন। ডিফারেন্ট কিছু করা লাগবে না। তারপরে আপনি যাই করেন না কেনো সেটা অন্যদের দেখাতে হবে, শিখাতে হবে। শুনতে না চাইলে, জোর করে শুনাতে হবে। যখনি কাউরে বুঝাতে যাবেন, তখনি টের পাবেন, অনেক কিছু আপনি নিজেই ঠিকমতো বুঝেন না। তখন, লজ্জা ঠেকানোর জন্য গুগলে সার্চ মেরে হইলেও যে যে পার্ট বুঝেন নাই, সেটা বুঝার চেষ্টা করবেন। এইভাবে একটার পর একটা ট্রাই করতে করতেই আপনি পেয়ে যাবেন, কোন কাজগুলো আপনাকে একচাইটেড করে। কারণ, অন্যের সাতার কাটা দেখে পানিতে না নামলে, কোনদিনই বুঝতে পারবেন না, সাতার দেয়াই আপনার প্যাশন।

আরেকটা খুচরা কাজ করতে হবে, সেটা হচ্ছে ফিজিক্যালি টায়ার্ড হতে হবে। শরীর থেকে ঘাম ঝরাতে হবে। সারাদিন বসে থাকার কাজ করলেও, হেটে হেটে বাসায় ফিরেন বা তিন মাইল দৌড় দিয়ে আসেন বা খেলাধুলা করেন। যাই করেন না কেনো ফিজিক্যালি টায়ার্ড হতে হবে। তাইলে রাতে ঘুম ভালো হবে এবং পরের দিন খুব প্রোডাক্টিভ হবে। আর এই কাজগুলা করলেই আপনি নিজেই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তখন ফেইসবুকিং, আড্ডাবাজি, পর্ণ দেখা সবই কন্ট্রোলে চলে আসবে। হারিয়ে যাবে হতাশা, আলো জ্বালাবে আশা।

সঙ্গেই থাকুন::

হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে


FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]