পাঠক প্রশ্ন-১: এই বই কারা কিনবে?

উত্তর: যাদের মাথায় প্রোগ্রামিং রিলেটেড কিছু প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরে কুট কুট করে কামড়ে যাচ্ছে। যেমন, প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক জিনিসগুলা শিখলাম, দুই-একটা বইও পড়লাম। টুকটাক প্রোগ্রামিং পারি। কিন্তু এর পর কি করবো? আর কী কী জানলে একজন পরিপূর্ন প্রোগ্রামার হওয়া যাবে? কী কী করলে প্রোগ্রামিংয়ের চাকরির জন্য এপ্লাই করা যাবে? কতদিন লাগবে? আচ্ছা, গুগল মাইক্রোসফট, ফেইসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য কি কি করা লাগবে? এপ্লাই করে যাচ্ছি কিন্তু ইন্টারভিউতে কল পাচ্ছি না, কি করবো?

তাদের জন্য এই বই 'প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী'।

পাঠক প্রশ্ন-২: বইয়ের ভিতরে কী কী জিনিস আছে?

উত্তর: এই বইটার তিনটা উদ্দেশ্য-

১. যারা প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক জিনিসগুলো শিখার পরে কি করতে হবে জানে না, তাদেরকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়া।

২. যারা প্রোগ্রামিং শিখে চাকরি পেতে চায় তাদের কমপ্লিট একটা গাইডলাইন দেয়া।

৩. প্রোগ্রামিংয়ের ইন্টারিভিউতে যে কোম্পানি যে এঙ্গেল থেকেই প্রশ্ন করুক না কেনো, সেটার যাতে উত্তর দিতে পারার মতো করে প্রস্তুত করে নেয়া। সেটা ছোট, মাঝারি এমনকি গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুকের মতো বড় কোম্পানি হোক না কেনো।

পাঠক প্রশ্ন-৩: লেখকের আগের দুইটা বই 'হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং' ও 'প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস' এই দুইটা বইয়ের সাথে 'প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী' বইয়ের পার্থক্য কী?

উত্তর: 'হাবলুদের জন্য প্রোগ্রমিং' বইটা হচ্ছে যারা প্রোগ্রামিং একদমই জানে না তাদের জন্য। যাতে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে একদম বেসিক জিনিসগুলোর সাথে মজায় মজায় পরিচিত হতে পারে। 'প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস' হচ্ছে বেসিক জিনিসগুলো শিখার পর সেকেন্ড স্টেজে যাওয়া। যেখানে সে আরো কিছু জিনিস যেমন ডাটা স্ট্রাকচার, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং, নিজে নিজে একটা ছোট সফটওয়্যার বানানো,এই রকম আরো কিছু ধারণা দেয়া হয়েছে।

আর 'প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী' হচ্ছে দুই স্টেজ পার হওয়ার পর পরিপূর্ন প্রোগ্রামার কিভাবে হবে। কিভাবে প্রোগ্রামিং রিলেটেড চাকরি পাবে। কিভাবে প্রোগ্রামিংয়ের প্রবলেম সলভিং করবে, ইন্টারভিউতে কী কী প্রশ্ন করে। এই রকম একটা কমপ্লিট গাইডলাইন।

পাঠক প্রশ্ন-৪: এই বই পড়ার জন্য আগের বইগুলো পড়তে হবে?

উত্তর: যারা একটু-আধটু প্রোগ্রমিং জানে। বেসিক কনসেপ্টগুলো বুঝে। কমপক্ষে ভেরিয়েবল, array, লুপ, if-else এই জিনিসগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা আছে তারা খুব সহজেই নেক্সট লেভেলে তাদেরকে নিয়ে যেতে পারবে। তাদের আগের বইগুলো না পড়লেও চলবে।আর যারা একদমই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কিছুই জানে না- তাদের পড়তে হালকা একটু কষ্ট হবে। তবে যেভাবে প্রোগ্রামিংয়ের জিনিসগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা পড়া চালিয়ে যেতে পারে।

পাঠক প্রশ্ন-৫: এই বইটা কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে?

উত্তর: এই বইতে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উপরে জোর দেয়া হয়নি। বরং ল্যাঙ্গুয়েজের মারপ্যাচে না গিয়ে প্রোগ্রামিং এর কনসেপ্টগুলো , কিভাবে সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবতে হয়। কিভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে সেগুলা সমাধান করতে হয়। কিভাবে একটার সাথে আরেকটা কানেকশন সেট করা সেই চিন্তাটা ডেভেলপ করার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যাতে যে যেই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজেই সফটওয়্যার বানাতে চাক না কেনো তার এই বইটা কাজে লাগবে।

আরো প্রশ্ন থাকলে ইমেইল করে দাও- [email protected]