প্রচন্ড ফাঁকিবাজ টাইপের মানুষ গুলোর জন্য

Najmul

রিভিউঃ মূল পাতা
বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত

#বুক_রিভিউ : রিচার্জ Your ডাউন ব্যাটারি

"
ভার্সিটি, টিউশনি,এসাইনমেন্ট আর রেজাল্টের চাপে আবিরকে হতাশ হতে হয় প্রতিক্ষণে।নতুন নতুন আইডিয়া থাকা সত্বেও হতাশার ভিড়ে কাজ শুরু করা হয় না তার।
তার মতে, রেজাল্ট তাকে ছ্যাকা দিছে,যে সাবজেক্টটা অনেক কঠিন ছিলো সেটাতে রেজাল্ট আনফলো মারছে,দুইটা টিউশনি করে রেজাল্ট ভালো করা কষ্টকর।কিন্তু পরবর্তীতে একটু মোটিভেটেড হলে বলে, "ক্লাসের শাহেদের কাছ থেকে নোটপত্র জোগাড় করে শুরু করে দিব"।
আবিরের এ মন্তব্যের পর অপর পাশ থেকে এক বড় ভাইয়ের হাসি আর উত্তর আসে:"ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ ঠিক হওয়ার আশায় বসে থাকলে, দিন চলে যাবে, গন্তব্য কাছে আসবে না।এক রাস্তার ব্রিজ নষ্ট হলে, অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।"
বড় ভাইটি আবিরের ভার্সিটির ঘনিষ্ঠ একজন (মাসুম ভাই)। একটু একটু করে গাইডলাইন দিয়ে আবিরের প্রত্যকবারের ডাউন ব্যাটারিকে রিচার্জ করার চেষ্টা করেন।পরবর্তীতে আবির সহ আবিরের বন্ধুদের ব্যাটারির দায়িত্বও নিতে হয় মাসুম ভাইকে।কখোনো ভার্সিটিতে আবার কখোনো পিকনিকের বাসে বসে।
মাসুম ভাই চেষ্টা করেন আবিরদের সমস্যাগুলোকে বাস্তব জীবন থেকে অর্জন করা অভিজ্ঞতা দিয়ে সমাধান করার।
পরবর্তীতে মাসুম ভাইয়ের অবর্তমানে আবির হয়ে ওঠে 'সাবির'।
"
উপরের দৃশ্যগুলো বললাম, 'ঝংকার মাহবুব' ভাইয়ের "রিচার্জ Your ডাউন ব্যাটারি " বইটা থেকে।বইটা পড়ার সময় কেউ আমাকে খুব কাছ থেকে কথাগুলো বলছে মনে হচ্ছিলো।
লাইফ নিয়ে,ফিউচার নিয়ে,কলেজ/ভার্সিটি নিয়ে হতাশ গোছের মানুষ, আমাদের আশেপাশে মোটামুটি অনেক।
যারা প্রতিনিয়ত নিজের ভালো করতে চাওয়ার ইচ্ছাশক্তি নিয়ে কাজে নেমে পরে, কিন্তু প্রোপার গাইডলাইনের অভাবে প্রতিনিয়তই তাদের ইচ্ছাশক্তি দমে যায়। দিনশেষে জমা পরে হতাশা, সভ্য কথায় "ব্যাটারি ডাউন"।
কিছু ডাউন পয়েন্ট এর কথা বলি:
১। আমাদের অনেকের "ভালো না লাগা" রোগ আছে।কারো পড়তে ভালো লাগে না,কারো নতুন কিছু করতে ভালো নাগে না, কারো নতুন কিছু শুরু করার পর হোঁচট খেলে ভালো লাগে না।
২। আজকে বাড়িতে আসার পর যেকোন ভাবে বুঝলাম, নাহ এভাবে চলবে না! কিছু একটা করতে হবে।যাক কাল থেকেই শুরু করে দিব।কাল থেকে আমি পুরা চেইন্জ।সব বাদ।
কিন্তু প্রায় আমাদের সবার ই হয়, কাজটা কাল থেকে তো নাই ই,আগামী কোনদিন শুরু করা হয়ে ওঠে না।
৩।কোনভাবে শুরু করতে পারলেও দুই দিন কুপায়া কাজ বা পড়াশোনা করার পর আমি যা তাই।আবারো হতাশ। নাহ, কিচ্ছু হবে না।
উপরে আমি শুধুমাত্র তিনটা বললাম,এরকম অনেক সমস্যার সমাধান আছে যেগুলো আমাদের প্রতিদিন পোহাতে হয়।
জানতে হলে শুধুমাত্র বইটা পড়তে হবে।বাকীটা মাসুম ভাইয়ের ওপর।

আমার মতো প্রচন্ড ফাঁকিবাজ টাইপের মানুষ গুলোর জন্য বইটা অনেক উপকারি।নিজে শুধরে যাই আর না যাই, অন্তত কেউ 'তুই' সম্বোধনে(লেখকের ভাষায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক) চোখে আঙ্গুল দিয়ে কেউ বুঝিয়ে দিবে তোর ভালো করার এই এই অপরচুনিটি গুলা আছে তুই পারবি, এটা করলে এটা হবি না করলে কিচ্ছু না। রেজাল্টের প্যারা,বেনামি ভার্সিটির লজ্জা, সময় নাই,কঠিন টপিক,লোকে কি বলবে? 
এই সব তথাকথিত ছুঁতোয় আমরা যারা পার পেতে চাই তাদের ডাউন ব্যাটারি, রিচার্জ করার সময় এসেছে।
বইয়ের শেষে একটা ব্যাটারি দেয়া আছে, যেটা দিয়ে আপনার বর্তমান চার্জ মাপতে পারবেন। 
আমার চার্জের লেভেল ৩৫%(মরতে মরতে বেঁচে গেছি,(০-২৫)% এর জন্য লেখক মারাত্নক থ্রেড দিছে!!!)

আমার চার্জের লেভেল অনুসারে আমি সাধারণ মানুষের দলে আছি।৮/১০ জন সাধারণের মতো খেয়েদেয়ে কোনরকমে লাইফ পার করে দিতে পারব।
(BUT I WANT TO IMPROVE MYSELF)

মাসুম ভাইয়ের রিচার্জে আবির সাবিরে পরিণত হয়।
এবং পরবর্তীতে সাবির মাসুম ভাই হয়ে আরেক হতাশাগ্রস্থ আবিরগুলোকে রিচার্জ করতে শুরু করে।রিচার্জে আপনি সাবিরে পরিণত হতে পড়তে হবে "রিচার্জ Your ডাউন ব্যাটারি"।
#Happy_recharging

রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি

লাইফকে লাইনে আনার জন্য। পিছিয়ে পড়েও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের ভিতর থেকে নিজেকে বের করে আনার জন্য বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

বই

মজায় মজায় প্রোগ্রামিং শিখতে, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস বই

মাস্তি করতে করতে বলদ থেকে ডাইরেক্ট বস হয়ে যাওয়ার বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করো-

FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]