Dream and target to achieve success
কেউ যদি জিগ্যেস করে, আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? গলা হাঁকিয়ে বলে দেন- বিজনেস ম্যান, মাল্টি-ন্যাশনালে চাকরি, গাড়ি, বাড়ি, ইত্যাদি। কিন্তু ভুলেও কখনও বলেন না আপনার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে- রাত জেগে প্রিমিয়ার লীগের খেলা দেখা, কে কয়টা গোল করছে তার হিসাব রাখা, ঘন্টার পর ঘন্টা ফেইসবুকের হোমপেইজে স্ক্রল করা। অথচ দিনের পর দিন এই কাজগুলা করেই, স্বপ্ন অর্জন আর বাস্তবতার মধ্যে গ্যাপ বাড়িয়ে নিচ্ছেন।
বারে বারে লাথি দিলে তালা ঠিকই ভাঙ্গবে, স্বপ্নের দরজাটা একদিন খুলবে। তবে বারে বারে লাথি কিন্তু একটা তালাতেই দিতে হবে। একদিন জেলের তালা, আরেকদিন শপিং মলের তালা আর তার পরেরদিন গার্লফ্রেন্ডের বাসার গেটের তালায় লাথি দিলে কোনটাই খুলবে না। আর লাথি দিতে গেলে যদি মনে ভয় ঢুকে "শেষপর্যন্ত তালা যদি না ভাঙ্গে" বা আমি যে তালাটা ভাঙ্গতে পারলাম না সেটা যদি কেউ দেখে ফেলে। অথবা একসময় আমার নিজেরই পা ব্যথা করা শুরু হবে, তখন আমি কি করবো।
আমরা বিল্ডিং বানাই না। বরং একটা ইটের সাথে আরেকটা ইট জোড়া লাগাতে লাগাতে এক সময় বিল্ডিং হয়ে যায়। একইভাবে আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হই না। বরং এক একটা কোর্স পাশ করতে করতে একসময় ডাক্তার ইঞ্জিয়ার হয়ে যাই।
আপনার হয়তো একটা ড্রিম আছে, আপনি জানেন আপনার ড্রিমটা কি এবং আপনি এও জানেন ড্রিমটা বাস্তবায়ন করার জন্য কি কি করা লাগবে কিন্তু তারপরেও আপনি সেটা করেন না বা করতে পারছেন না একটু চোখকান খুলুন দেখবেন, কোথাও না কোথাও, কেউ না কেউ আপনার ড্রিম বা স্বপ্নের মতো জীবন বাস্তবে যাপন করতেছে যাদেরকে অগ্রগতি থামনো যাচ্ছে না। দিনকে দিনকে নতুন উচ্চতায় আরোহন করছেন। আপনি, জাস্ট ওদেরকে কপি করতে শুরু করেন।
আমাদের জীবন, জীবনে এগিয়ে চলা এক একটা জার্নি। শুরুর দিকে ঢাকার ভিতরের জ্যামের মত ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে অল্প অল্প করে আগাইলেও ছেড়ে দেয়া যাবে না। দ্রুত অগ্রগতি না দেখলেও হতাশ হওয়া যাবে না। বরং লেগে থাকতে হবে। চিটাগং যাওয়ার টার্গেটের মত জীবনের টার্গেটটা শক্ত রেখে, ডেসপারেট হইতে হবে। তখন রাস্তার জ্যাম, চাকা নষ্ট, বাস নষ্ট, মাথা নষ্ট, চার্জ নাই, ইন্টারনেট নাই, সব ঝামেলা, সব বাধা-বিপত্তি সাইডে চলে যাবে। দূর থেকে সফলতা ছুটে এসে কোলে তুলে নিবে।
ডরপোকগিরি করা যাবে না। মাঠে নামার আগে হেরে যাওয়া যাবে না। অতীতে কোন কিছু করতে পারেন নাই বলে, ভবিষ্যৎ চেইঞ্জ করতে পারবেন না, তা ভাববেন না। নির্জন একটা পথের ধারে, ছোট্ট চায়ের দোকান জমিয়ে, সংসার চালনোর খরচ উঠাতে পারলে, আপনিও পারবেন আপনার ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্নকে, বাস্তবে অর্জন করতে।
সাহসে না কুলাইলে, টাইম না পাইলে, স্বপ্ন দেখে আরো এক্সট্রা সময় নষ্ট করবেন না। বরং যা করতেছেন তা করতে করতে কবরে চলে যান। টাটা বাই বাই। আর জেনো দেখা না পাই।
আমাদের জীবনগুলো কোক-পেপসির বোতলের মত। ফ্রিজ থেকে বের করার অল্প সময়ের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হয়। নচেৎ নরমাল হয়ে গেলে আর মজা থাকে না। আবার বেশিক্ষণ বোতলের মুখ খুলে রেখে দিলে ঝাঁঝ কমে যায়। পানসে হয়ে যায়। তাই জীবনের কোকের ঝাঁঝ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই, যা এচিভ করতে চান, তা সিরিয়াসলি শুরু করে দিতে হবে। যত বেশি অপেক্ষা করবেন তত বেশি ঝাঁঝ কমে যাবে, তত বেশি সুযোগ কমে যাবে, তত বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
লজিক্যালি, শুধুমাত্র ফ্যাক্ট নিয়ে চিন্তা করলে- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে নামতে পারতাম না। ওদের সৈন্য, অস্ত্র, যুদ্ধ পরিচালনার মাস্টার প্ল্যান মোকাবিলা করার জন্য আমাদের তেমন কিছুই রেডি ছিলো না। তারপরেও আমরা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। এমনকি ঠিকমত যুদ্ধে জড়ানোর আগেই, দুই-একটা ছোট খাটো যুদ্ধে জয়ের স্বাদ পাওয়ার আগেই, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিছিলাম। খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন- আমরা আগে টার্গেট সেট করেছিলাম। তারপর যুদ্ধ শুরু করেছিলাম।
ছেলেকে একদিন ভালো করে পোলাও কোর্মা খাওয়াইয়া পরে বেশ কিছুদিন খোজ খবর না রাখায় তিন মাস পরে পেইন্টারের ছেলে মারা গেছে।
আপনার স্বপ্নের, আপনার জীবনের বস, আপনাকেই হতে হবে। আপনাকেই স্বপ্ন অর্জনের কঠিন ডেডলাইন দিতে হবে। কড়া টিচারের মতো, ঠিক সময়ে কাজ শেষ না হলে, কানে ধরে বেঞ্চির উপর দাড় করিয়ে বা নীল ডাউন দিতে হবে। নিজেই নিজের তদারকি করে, ঘাম ঝড়িয়ে নিজের ভিতর থেকে সঠিক সময়ে কাজ বের করতে না পারলে, স্বপ্ন দেখে লাভ নাই। খালি খালি টাইম নষ্ট হবে।
প্রেম রিলেটেড প্রশ্ন, হতাশা কিংবা কনফিউশন রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর
শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।
নাকানি চুবানি খাইতে খাইতেও মানুষ হইতে পারলাম না। ড্রিম জব ল্যান্ড করাতো দুরের কথা।
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]