রোজার মাসে পড়ালেখা

নির্বাচিত প্রশ্ন

নির্বাচিত প্রশ্নের মূল পেইজ

প্রশ্ন::

রোজার মাসে ক্লাস নাই। ভাবছিলাম পড়ালেখা একটু গুছিয়ে ফেলবো। কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে ১১-১২ টা বেজে যায়। কিন্তু রোজার কারণে টায়ার্ড থাকি, শরীর খারাপ লাগে। এই ভাবে বেশ কয়েকদিন নষ্ট করে ফেলছি। কি করা যায় বলেনতো?

আমার উত্তর::

ধরলাম রোজার কারণে তোমার শরীর খারাপ হয়ে যায়। আরো ধরলাম ইফতার, সেহেরি, তারাবী এর পিছনে অনেক সময় চলে যায়। তবে রোজার কারণে তোমার শরীর অতটা খারাপ থাকে না যে তুমি উঠে গিয়ে ইফতার বা সেহেরি খেতে পারো না। আর শরীর বেশি খারাপ থাকলে তুমি তো ঔষধ খেতে বা হাসপাতালে থাকতে। শুনো, রোজার কারণে তোমার আসল শরীর যতটা না খারাপ তার চাইতে তোমার মনের ভিতরের শরীরটা বেশি খারাপ থাকে। আর হালকা একটু টায়ার্ড থাকলেও বাকী সব কাজ- গোসল, খেলা দেখা, আড্ডা কিন্তু বন্ধ নাই। খালি পড়ালেখার কথা মনে হইলেই মনে টায়ার্ড লাগে!?!

রোজার মাসে সময় কম পাও না বরং বেশি পাও। কারণ দিনের বেলা বারবার খাইতে হয় না। এমনকি রোজার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই এক্সট্রা সময় একটু এক্সট্রা দূরুত্বে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করলে অনেক পিছিয়ে পড়বে, ভায়া। একটু খেয়াল করে দেখবে, ইফতার-সেহেরি বাসায় করলে ইফতার সেহেরির পিছনে ১ ঘন্টা সময় যাবে। আর বাইরে করলে ৩-৪ ঘন্টা লাগতে পারে। তাই প্রতিদিন বাইরে ইফতার সেহেরি করতে যাওয়া যাবে না। সপ্তাহে ১ বা ২ দিন যেতে পারো, তবে সব দিন না।

আর রোজার মাসে ইফতার-সেহেরি- তারাবিসহ অন্যান্য নামাজগুলো তোমার রুটিনের সাথে মিলিয়ে ফেললে, পড়ালেখা করা অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন ধরো, আজকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠিক করলা কালকে সকালে এই বইয়ের এই চ্যাপ্টার পড়বা। জোহর নামাজ শুরু হওয়ার ২ ঘন্টা আগে যখন গোসল করতে যাবা তখন চেক করলা পড়া কতটুকু হইছে। গোসল করার সময় মনে মনে পড়া রিভাইজ দিবা। কোন জায়গায় মনে মনে রিভাইজ দিতে না পারলে গোসলের পরে এসে আবার দেখবা। টার্গেট যতটুকু নিছিলা সেটা যেভাবেই হোক জোহরের আগে টেনেটুনে হলেও শেষ করতে হবে। তারপর জোহর পড়তে যাওয়ার আগে ঠিক করে ফেলব জোহর টু আসর কি পড়বা। আর নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে পড়লে, ডেডলাইন দেয়া আরো শক্তপোক্ত হয়।

এইভাবে দ্বীন ও দুনিয়া ব্যালেন্স করে এগুতে থাকো।


FB post