বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারাই সুখ

লম্বা সময় ধরে লেগে থাকাই সফলতার আসল মন্ত্র

সুখ ও সফলতার মলমের মূল পাতা

যে পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়ে তুমি মন খারাপ করে বসে আছো। সেই একই পরীক্ষায় কোন রকমে পাশ করে, ফেল্টুস ছেলেটা খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করছে। যে ছিঁড়ে যাওয়া জুতাটা পায়ে দিতে তুমি বিব্রত বোধ করছো। তার দ্বিগুণ ছেঁড়া জুতা পায়ে দিয়ে ফুটপাতের শিশুটা ফুরফুরে মেজাজে আছে। যে পুরাতন মডেলের মোবাইলটা বন্ধুদের সামনে বের করতে লজ্জা পাচ্ছ। তারচাইতে চারগুণ পুরাতন ফোন দিয়ে তোমার আব্বুর দিন আরামসে চলে যাচ্ছে।

আসলে, দামি মোবাইলে শো-অফ আছে, সুখ নাই। শো-অফে সোশ্যাল স্ট্যাটাস আছে, আনন্দের স্থায়িত্ব নাই। কারণ আনন্দের স্থায়িত্ব থাকে বাস্তবতা আলিঙ্গনের মাঝে। জীবনের গতিশীলতা উপভোগের মাঝে। জীবনের আয়না থেকে অতীতের দাগ মুছে ফেলার মাঝে। অতীতের ব্যর্থতা যত বেশি আঁকড়ে ধরবে, জীবনের আয়না তত বেশি ঘোলাটে হবে; ফিউচার তত বেশি ঝাপসা হবে, মন খারাপের পরিমাণ তত বেশি বাড়বে। শুধু অতীতের ব্যর্থতা না; অতীতের সফলতাকেও যত বেশি বড়াই করে বলবে, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের সামনে তত বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। অনাগত দিন নিয়ে তত বেশি কনফিউজড হবে।

সুখ যেমন সম্পদে বা অর্জনে থাকে না। হতাশা, ভয়, খারাপ লাগাও তেমনি ব্যর্থতা বা না-পাওয়ার মাঝে থাকে না। বরং হতাশা, ভয়; সবই দৃষ্টিভঙ্গি আর উপলব্ধি দিয়েই তৈরি হয়। আবার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই কন্ট্রোল করা যায়। কারণ প্রেমে সুবিধা করে উঠতে না পারা কেউ, হাসপাতালের বিছানায় কাতরানো কারো চাইতে বেশি কষ্ট পায় না। মায়ের বকুনি খেয়ে বিরক্ত কেউ, তিন বছর বয়সে মা হারানো চাইতে বেশি বিষণ্ণ হয় না।

তাই জীবনের তোতা পাখিটাকে- "আমি হতাশ, আমি ডিপ্রেসড" বলে মন খারাপ করে বসিয়ে না রেখে। "আজকে এইটুক দিয়েই চলবে। কালকে আরো বেশি হবে।" বলে, উজ্জীবিত হয়ে সামনের দিকে তাকাও। পিছনের হতাশা না গুনে, সামনের সম্ভাবনা গুনো। কনফিউশনের কুয়াশায় ঘুমিয়ে না থেকে, আশার প্রদীপ জ্বালাও। দৃষ্টিভঙ্গিটা পজিটিভ করো। সুখী ও সফল হওয়া অনেক সহজ হবে।

সঙ্গেই থাকুন::

হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে


FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]