সুখী হওয়ার চেষ্টাই সংগ্রাম
মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির একটাই উদ্দেশ্য- টাকা সেইভ করা। এরা চিকিৎসার জন্য এক ভাগ। সন্তানের পড়ালেখার জন্য এক ভাগ। গাজীপুরে ডোবার মধ্যে জমি কিনার জন্য এক ভাগ। এই রকম ভাগ ভাগ করে সেইভ করবে। এখনকার খরচ কমিয়ে ফিউচারের খরচ সামাল দেখার চিন্তা করে। কিন্তু এখনকার ইনকাম বাড়িয়ে ফিউচার খরচ সামাল দেয়ার চিন্তা করে না।
অন্যদিকে আপার ক্লাস জাস্ট উল্টা। এরা সেইভিংয়ে, খরচ কমানোতে ফোকাস করে না। এরা ফোকাস করে ইনকাম বাড়ানোতে। এদের খরচ এক গুন বাড়লে, ইনকাম চারগুণ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিত্য নতুন ইনকাম জেনারেট করার, যে টাকা আছে সেটাকে আবার রি-ইনভেস্ট করে। আরো টাকা বাড়ানোর পিছনে ছুটে।
এদের পাজারো গাড়ির সিটে, ডুপ্লেক্স বাড়ির দেয়ালে, বিশাল অফিসের ফাইলে ফাইলে শরীরের ঘাম লেগে থাকে। ওদের গায়ের স্যুটের কারণে বাইরের লোকেরা তাদের স্ট্রাগলের কাহিনী, ডেসপারেট হওয়ার কাহিনী, সেক্রিফাইসের কাহিনী দেখে না। সহজ রাস্তা ছেড়ে দিয়ে নাকানি চুবানি খেতে খেতে, অবহেলা লাঞ্ছনার শিকার হয়েই একটু একটু করে উঠা গল্পটা শুনে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয় কিন্তু অনুসরণ করে না। এরা লেগে থাকাটা, রিস্ক নেয়াটা, নতুন রাস্তা বের করার জন্য সাধনা করাটা রক্তের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে পারছে দেখেই আপার ক্লাস হয়েছে।
তবে সবচেয়ে ভালো থাকে লোয়ার ক্লাস। এদের সেইভিং নিয়ে টেনশন নাই। ইনকাম নিয়েও টেনশন নাই। ইনফ্যাক্ট এরা হচ্ছে নো-টেনশন, ড্যাম-কেয়ার, অল্পতেই শুকরিয়া টাইপের ক্লাস। গা-ছাড়া অলস হয়ে জীবন চালিয়ে দেয়া ক্লাস।
আসলে এইসব ক্লাসের ডিফারেন্স টাকা দিয়ে তৈরি হয়নি। বরং টাকাটা তাদের চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি, চেষ্টা-সাধনা করার অভ্যাসেরই প্রতিফলন। যে অল্প কয়দিন চেষ্টা করে একটা কিছু পেয়ে সেইফ জোনে খেলার অভ্যাস তৈরি করবে- তাকে আজীবন মিডেল ক্লাস হয়েই থাকতে হবে। আর যে রিস্ক নিবে, হেরে গিয়েও লেগে থাকবে, সে মিডেল বা লোয়ার ক্লাসে জন্ম নিলেও আপার ক্লাসে ঠিকই উঠে যাবে। অন্যদিকে অলস, আরাম প্রিয়, ড্যামকেয়ার টাইপ হলে ২০ বছর পরে- তোর কি হবেরে, প্রতীক?
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]