মিডেল ক্লাসের আপার ক্লাস পোলাপান

সুখী হওয়ার চেষ্টাই সংগ্রাম

Family Struggle main page

মধ্যম আয়ের দেশ হইতে গিয়ে- বড় লোক আরো বড় লোক হইছে, গরিব মানুষ আরো গরিব হইছে। কিন্তু বাটে পড়ে গেছে চাকরিজীবী মিডল ক্লাস। না পারে কারো কাছে হাত পাততে, না পারে খরচের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। ছেলেটা আবার সরকারী ভার্সিটিতে চান্স পায় নাই, বাধ্য হয়ে প্রাইভেটে ভর্তি করাইছে। প্রত্যেক সেমিস্টারে ৬০ হাজার টাকা ফি দিতে দিতে খবর হয়ে যাচ্ছে। তাতে আবার সরকার বাহাদুর ১০ পার্সেন্ট ভাগ বসাইছে। খালিতো সেমিস্টার ফি না, ল্যাব ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, মেসের ভাড়া, বই-খাতা, থাকা-খাওয়া, খরচের খাতের শেষ নাই। শুধু নতুন কোন ইনকামের রাস্তা নাই। খরচ যোগাড় করতে গিয়ে প্রেশারের ঔষধ কিনা কমিয়ে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। বুকের ব্যথাটা বাড়লেও দাঁত খিঁচিয়ে পড়ে থাকে, ঔষধ লাগবে না, ঠিক হয়ে যাবে বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেয়। জানালা দিয়ে অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আর ভাবে পরের মাসের খরচটা কেমনে যে যোগাড় হবে??

তবে ফ্যামিলি মিডল ক্লাস হইলেও, ছেলেমেয়েগুলা কিন্তু আপার ক্লাস। পুরাই আপার ক্লাস। তাগো ল্যাপটপ লাগবে, স্মার্টফোন লাগবে, ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেট লাগবে, জন্মদিনে বন্ধুদের খাওয়াতে হবে, বান্দরবন ঘুরতে যাইতে হবে। কোন একটা জিনিস সময়মত জোগান দিতে না পারলে, মন খারাপ করবে, চিল্লাচিল্লি করবে, মান অভিমান করবে। তবুও বুঝতে চাইবে না সাড়ে উনিশ হাজার টাকার মাসিক বেতনটাকে হাজারবার পারমুটেশন কম্বিনেশন করলেও সংসার খরচ মিটিয়ে একটা স্মার্টফোন কিনার টাকা বের করা যায় না। সে কথা আবার ছেলেমেয়েগুলাকে বলা যায় না, বুঝানো যায় না, বুঝতেও চায় না। বাধ্য হয়ে চার বছর আগের পাঞ্জাবিটা দিয়েই ঈদের নামাজ পড়তে যায় মিডল ক্লাসের আব্বুরা। আর রান্না করতেছি, পরে গোসল করবো বলে পুরাণ শাড়ি পড়েই ঈদ কাটিয়ে দেয় মিডল ক্লাসের আম্মুরা।

সঙ্গেই থাকুন::

হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে


FB post




Question or Feedback:

যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]