আমাদের জীবনগুলো কোক-পেপসির বোতলের মত। ফ্রিজ থেকে বের করার অল্প সময়ের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হয়। নচেৎ নরমাল হয়ে গেলে আর মজা থাকে না। আবার বেশিক্ষণ বোতলের মুখ খুলে রেখে দিলে ঝাঁঝ কমে যায়। পানসে হয়ে যায়। তাই জীবনের কোকের ঝাঁঝ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই, যা এচিভ করতে চান, তা সিরিয়াসলি শুরু করে দিতে হবে। যত বেশি অপেক্ষা করবেন তত বেশি ঝাঁঝ কমে যাবে, তত বেশি সুযোগ কমে যাবে, তত বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। আর চাকরি-বাকরি, বিয়ে সংসার বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেলে তো ডিফারেন্ট কিছু করা প্রায় অসম্ভব। এখন আপনি যদি বুদ্ধিমানের মত বলেন- "বোতলের মুখ না খুলেই ফ্রিজে রেখে দিবো, ঝাঁঝ কোনদিনও শেষ হবে না"। আরে ভাই, বেশিদিন ফ্রিজে রেখে দিলে, একদিন হুট করে ডেট এক্সপায়ার হয়ে যাবে। এক ফোটাও খাইতে পারবেন না। পুরা জীবনটাই গচ্ছা যাবে।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমরা বুঝি কোকের ঝাঁঝ কমে যাচ্ছে। আইসক্রিম গলে যাচ্ছে। তারপরেও যেটা করা উচিত, সেটা করা হয়ে উঠে না। প্ল্যান করি, রুটিন সেট করি। ক্যামনে ক্যামনে জানি গুবলেট পেকে যায়। তবে সবকিছুতে যে গুবলেট পাকায় ফেলি তা কিন্তু না। যেমন- পরীক্ষার হল, ট্রেন স্টেশন, এয়ারপোর্ট, সিনেমা হল কিংবা কনসার্টে যাওয়ার দরকার হইলে আমরা ঠিকই নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছে যাই। শুধু মিটিং, বৌভাত, মেজবানি বা ভলান্টিয়ারি কাজে আসার পথে ট্রাফিক জ্যাম, শরীর খারাপ, বাসায় পানি ছিলো না টাইপের হাজারো প্রবলেমের কারণে দেরী হয়ে যায়।
আজকের পর থেকে আপনার ড্রিমকে মেজবানি ক্যাটাগরি থেকে ট্রান্সফার করে এয়ারপোর্ট ক্যাটাগরিতে আপগ্রেড করা লাগবে। মনে প্রাণে অনুভব করতে হবে, আপনার ড্রিমের কাজে দেরী করলে সফলতার ট্রেন আপনাকে ফেলে চলে যাবে। ড্রিমটাকে পরীক্ষার চাইতেও সিরিয়াসলি নিতে হবে যাতে, কোথায় কোন খেলা হচ্ছে, কোথায় কি মেলা বসছে, কোন খবরই আপনার কাছে না থাকে। নচেৎ আপনার ড্রিম এক্সপায়ার হয়ে যাবে আর অন্য কারো ড্রিম সফল করার জন্য বাকী জীবন কলুর বলদের মত খেটে মরবেন।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]