Prepare to be the best out of you
এক ঘন্টার একটা পরীক্ষা জীবনের সবকিছু ডিসাইড করে দেয় না। বড়োজোর নেক্সট চার-পাঁচ বছর কই ঘুমাবা সেটা ঠিক করে দিতে পারে। মনে রাখবে- কোন ভার্সিটিই কারো লাইফ গড়ে দেয় না। আবার কোন ভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে কারো লাইফ ধ্বংস হয়ে যায় না। বরং যে যেই ভার্সিটিতে যায়, সেই ভার্সিটির করিডোরে বসে বসে, তার লাইফ তাকেই গড়ে তুলতে হয়। হয়তো কোন ভার্সিটির করিডোরে ছায়া একটু বেশি থাকে আর কোন ভার্সিটির হয়তো করিডোরে গরম একটু বেশি লাগে। ডিফারেন্স এইটুকুই।
যারা দুই-এক জায়গায় চান্স না পেয়ে বিষণ্ণ মনে হতাশার বেড়াজাল বুনতে শুরু করতেছো- তাদের বলছি। এমন হাজারটা উদাহরণ আছে- যারা টপ উনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েও ঠিকমতো পাশ করে বের হতে পারে নাই। আবার এমন হাজারটা উদাহরণ আছে- যারা কম নামী ভার্সিটিতে গিয়ে, ঠিক সময়ে পাশ করে সবার আগে চাকরিতে জয়েন করে বসে আছে। আর তার ব্যাচেরই পোলাপানরাই তার আন্ডারে জয়েন করতে বাধ্য হচ্ছে। সো, ভর্তি পরীক্ষার এক্সামই জীবনের একমাত্র টেলিগ্রাম না। এরপরেও টেলিগ্রাম আসবে। আর পরেও টেলিফোন আসবে। খেলা আরো হবে। সেইসব খেলাতেও জয়-পরাজয়ও নির্ধারিত হবে।
শুনো, চান্স না-পাওয়া নিয়ে হতাশ হওয়ার সময় তোমার হাতে নাই। পিছনে কি হতে পারতো সেটা নিয়ে নামতা গুনার দিন আজকে না। বরং ছিটকে পরে থাকা অবস্থা থেকে, ঝাপটে দৌড় দেয়ার প্রতিজ্ঞার দিন আজকে। শক্ত হাতে হাল ধরার, ফিউচারের দেখিয়ে দেয়ার পণ করার দিন আজকে। সামনে যতটা অপশন আছে তার প্রত্যেকটা সুযোগকে বিন্দু বিন্দু করে চেখে দেখার মনোবল জোগাড় করার দিন আজকে। পরবর্তী ধাপের এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করার দিন আজকে।
আজ থেকে পাঁচ বছর পরে বিসিএস, ব্যাংক, কিংবা ভালো চাকরির দৌড়ে যখন সবাই একসাথ হবে। তখন নামকরা ভার্সিটিতে পড়ার সুবাদে কেউ পাঁচ নম্বর এক্সট্রা পেয়ে যাবে না। আবার খারাপ ভার্সিটিতে পড়ার কারণে কারো পাঁচ মার্কস কেটে নিবে না। সো, টেনশন লেনে কা নেহি, দেনে কা।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]