Art of Study - report writing

Study smart for excellent result.

Life Hacks and Tips

হাউ টু রাইট এ রিপোর্ট

একজিকিউটিভ সামারি ::

রিপোর্ট কি নিয়ে সেটার আইডিয়া থাকলেও, অনেক সময় দেখা যায় কোথা থেকে শুরু করবো বুঝে উঠতে পারি না। সেক্ষেত্রে, রিপোর্টে কি কি পার্ট বা মেইন পয়েন্ট থাকবে সেটার সিম্পল একটা লিস্ট লিখতে শুরু করেন। তারপর কোন একটা পয়েন্টের ডিটেল লিখতে শুরু করেন। আর বস বা প্রফেসর মুখের উপ্রে রিপোর্ট ছুড়ে মারলে, কি করতে হয় সেটা জানতে, হয় শেষের দুই প্যারা পড়েন, নয় পেরা খান।

একটা সিম্পল লিস্ট::

রিপোর্ট, থিসিস বা থিসিসের একটা চ্যাপ্টার, ব্লগ, গল্প, দানবীয় সাইজ স্ট্যাটাস বা প্রেজেন্টেশন আইডিয়া থাকলেও কোথা থেকে কিভাবে শুরু করবো সেটা কোনভাবেই বুঝতে না পারা একটা জাতীয় সমস্যা। সেই সব ক্ষেত্রে আমি, একটা লিস্ট বানাতে শুরু করি। জাস্ট বুলেট পয়েন্ট। খুব হাই লেভেলে, কি কি এরিয়া বা টপিক টাচ করা লাগবে সেটার পয়েন্টগুলা দিয়ে একটা সিম্পল লিস্ট লিখতে থাকি। যা মনে আসে তাই। খুব চিন্তা ভাবনা করার কিচ্ছু নাই। কোনটা বেশি বা কোনটা কম ইম্পর্টান্ট, সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নাই। জাস্ট লিখতে থাকেন। রিপোর্ট বা প্রেজেন্টেশন শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এই লিস্টটা থাকবে একদম রিপোর্টের শুরুতে।

পাতা ভরায় ফেলেন ::

ম্যাক্সিমাম টাইমে, মোটামুটি কয়েকটা পয়েন্ট লিখা হইলেই, কোন একটা পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত লিখা শুরু করি। সেটাও যা মনে আসতেছে তা। সেন্টেন্স মেকিং, গ্রামার বা কোন লাইনের পর কোন লাইন আসবে সেটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। খালি পাতা ভরলেই আমি খুশি। এই বিস্তারিত প্যারাগ্রাফটা রিপোর্টের বা প্রেজেন্টেশনের প্রথমে, না মাঝে, না শেষে যাবে, সেটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। জাস্ট লিখে যান। একটা পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি লিস্টে গিয়ে সেই পয়েন্টের কালার ধূসর করে দেই। কিন্তু পয়েন্টটা ডিলিট করে দেই না। তাইলে পরবর্তীতে আপনি বুঝতে পারবেন কতগুলা পয়েন্ট লিখা হইছে আর কতগুলা বাকি। কোন একটা জিনিস বিস্তারিত লিখতে গেলে যদি আরও দুইটা পয়েন্ট মনে আসে, আগের লিস্টের সাথে এই নতুন দুইটা পয়েন্ট যোগ করে দেন।

পাঁচ মিনিটের ব্রেক ::

লিস্টের কোনো একটা পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত লিখতে ইচ্ছা না করলে বা মাথায় কিচ্ছু না আসলে, অন্য আরেকটা নিয়ে শুরু করেন। অথবা একটা ব্রেক নেন। পাঁচ মিনিটের বাথরুম ব্রেক বা দশ মিনিটের রাস্তায় চক্কর কিংবা টঙ্গের দোকানে ছোলা মুড়ি খাওয়ার ব্রেক (চা-সিগারেট খাওয়ার কথা বলিনি কিন্তু)। এই ব্রেকের সময় ফুটবল খেলা, ফেইসবুকে চ্যাট, ফোনে আজাইরা প্যাঁচাল বা কাউরে এড রিকোয়েস্ট সেন্ড করা যাবে না। ব্রেকের সময় রিপোর্ট নিয়ে ভাবতে হবে। যেটা ভাবা দরকার সেটা নিয়ে মাথায় কিছু না আসলে, পরের পয়েন্ট নিয়ে ভাবেন।

গিট্টু ছুটাইতে পারি না ::

মাঝে মাঝে দেখা যায়, গিট্টু পেকে গেছে আর ছুটাইতে পারতেছেন না। এইসব ক্ষেত্রে প্রবলেমটা অন্য কারো কাছে এক্সপ্লেইন করার চেষ্টা করেন। এমনকি আপনার আম্মুর কাছে বা নিজে নিজেই জোরে জোরে পড়তে থাকেন। প্রবলেমটা এক্সপ্লেইন করতে গেলে, হুট করে মাথায় সল্যুশন চলে আসবে। তাছাড়া সিনিয়র কোন কলিগ, অন্য ডিপার্টমেন্টের টিচার, অনলাইন ফোরাম, stackoverflow (প্রোগ্রামিং প্রবলেম এর জন্য) বা এই টাইপের জিনিস নিয়ে যে কাজ করছে তারে খুঁজে বের করে। একটু রিলাক্স করে আবার শুরু করতে পারেন। লক্ষ্য টাকে মডিফাই বা ছোট করে, ছোট অংশটুকু সলভ করার চেষ্টা করেন আগে। কোনভাবেই গিট্টু খুলতে না পারলে, এইটা আপাতত বন্ধ রেখে, পরের অংশের জন্য চেষ্টা করেন। বা অনেক সময় কি রেজাল্ট এক্সপেক্ট করতেছেন সেটা থেকে, উল্টা পথে হাটা শুরু করলে, সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়।

স্টোরি এর মতো ফ্লো ::

আপনার বুলেট পয়েন্ট বা লিস্টের দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হইলে, লেখা বা প্রেজেন্টেশন টাকে অর্গানাইজ করতে শুরু করেন। অর্গানাইজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে একটা ফ্লো ডেভেলপ করতে হবে। সিনেমার মতো স্টোরি ফ্লো হচ্ছে কিনা। একটু পড়ার পর, বাকি অংশ পড়তে ইন্টারেস্ট তৈরী করতে হবে। স্টোরি বা রিপোর্টের টাইটেল, ই-মেইলের সাবজেক্টের মতো খুবই ইম্পর্টান্ট ৫০% লোক এই টাইটেল পড়ে ভালো না লাগলে, রিপোর্ট পড়বে না। তারপর দিতে হবে অ্যাবস্ট্রাক্ট বা একজিকিউটিভ সামারি, যাতে বস টাইপ লোকেরা অল্প সময়েই রিপোর্টের আসল জিনিস বুঝতে পারে।

কভার পেইজ চেঞ্জ ::

আবার দেখা যায়, আপনার সাধের রিপোর্টের বদনখানি দেখে বসের মাথায় আগুন ধরে গেছে। একেবারে মুখের উপ্রে ছুড়ে ফালায় দিছে। রুম থেকে বের করে দিছে। এখন কি করবেন? রিপোর্ট ছুড়ে ফেলার আগে যেসব গালি দিছে, সেগুলা কিন্তু অনেক ইম্পর্টান্ট। সেগুলা কারেক্ট করতে হবে। সেইফে থাকার জন্য, টিমের সিনিয়র মেম্বার বা বসের সবচেয়ে বড় তেলবাজের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, বস বৌয়ের ঝাড়ি খেয়ে আসছে, সেই ঝাড়ি এর ঝাল আপনার উপর ঝাড়ছে। চাল্লু পোলাপান, কভার পেইজ চেঞ্জ করে জমা দিলে, একই রিপোর্টরে বস বলে, ওয়াও।

বেশি বেশি ফিডব্যাক এবং ডেমো ::

তবে রিপোর্ট শুরু করার আগে একটু আউটলাইন, মেইন রেজাল্ট এবং কি কি জিনিস মূলে থাকবে সেটা নিয়ে বস বা প্রফেসরের সাথে একটা দুইটা ডিসকাশন করেন। বসের কাছ থেকে পুরাতন রিপোর্ট বা আগে পাশ করে যাওয়া স্টুডেন্টদের থিসিস পেপার নেন। একটা চ্যাপ্টার বা অর্ধেক কাজ শেষ হইলে সেটা রিভিউ করান। ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে ড্রাফট জমা দিয়ে ফিডব্যাক নেন। বা ডেমো প্রেজেন্টেশন দ্যান। ইংরেজি ভালো জানে এমন কাউকে দিয়ে গ্রামার কারেকশন করেন। সেই পবিত্র উদ্দেশ্যে কোন ইংলিশ মিডিয়ামের সুন্দরী মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পিছপা হবেন না।

নিরাপদ দুরুত্ব ::

এখন ভাবতেছেন, এইগুলা তো সবাই জানে, এইগুলা নিয়ে স্ট্যাটাস দেবার কি আছে। উত্তর হচ্ছে, যা ব্যাটা রিপোর্ট লেখ, ফেইসবুকে আসতে তোরে কে কইসে 3:)


FB post