Study smart for excellent result.
পড়ালেখা করতে কারোরই ভালো লাগেনা। পরীক্ষার আগে, পড়া ছাড়া দুনিয়ার সবকিছুই উপভোগ্য হয়ে উঠে। এমনকি সিলিং এ ফ্যান ঘুরা দেখাটাও অনেক ইন্টারেষ্টিং। সুপার গ্লু মেরে শরীরের একটা অংশ চেয়ারের সাথে আটকায় রাখলেও, পরীক্ষার সময় লাড্ডু মারা কেউ ঠেকাতে পারে না।
ধরেন, ক্লাসটেস্ট (CT) বা এসাইনমেন্ট করার সময় কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়ছেন। কিন্তু পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন নিতে গিয়ে, বই খুলে দেখেন, সব মেমরি সার্ফ এক্সেলের মতো ক্লিন হয়ে গেছে গা। এই মেমরী লসের হাত থেকে বাচার জন্য অনেকেই হাইলাইটার বা মার্কার দিয়ে বই দাগিয়ে রঙিন করে ফেলে। বা কোন একটা প্রশ্ন ইম্পর্টান্ট হলে অর্থাৎ পরীক্ষায় আসার উপযোগী হলে তার পাশে, imp বা vvi (very very important) লিখে রাখে। আপনি আরো এই রকম আরো অনেকগুলা সংকেত ব্যবহার করতে পারেন। যেমন,
কোনো একটা প্যারাগ্রাফ বা কোনো একটা লাইন বুঝতে পারেন নাই তার পাশে লিখে রাখেন, NC (not clear) বা শুধু কোয়েশ্চেন মার্ক (?) অর্থাৎ বুঝেন নাই। কাউরে জিগ্যেস করা বা গুগল করা লাগবে এমন জিনিস গুলার পাশে ggl লিখেন। তবে, সাথে সাথে লাফাইয়া ল্যাপটপ অন করে গুগল করতে গেলে আপনি কিন্তু শ্যাষ। একবার ইন্টারনেটে ঢুকলে, চার ঘন্টা গায়েবুল হাওয়া হয়ে যায়। বরং দশ থেকে বারোটা হইলে একসাথে গুগল করেন বা আতেল কোনো ফ্রেন্ডরে গিয়ে জিগ্যেস করেন।
পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভাইস দেয়ার সময় নিশ্চয় সবকিছু পড়তে পারবেন না। পড়ার সময় যেটা যেটা মনে হবে, একদিনের রিভাইসে পড়া উচিত, তার পাশে লিখে রাখেন RA মানে read again.
অনেক সময় ফর্মূলা বা সূত্র মনে রাখতে হয়। লাস্ট মোমেন্টে, হলে ঢুকার আগে গুরুত্বপূর্ণ ফর্মূলা দেখে নেবার অভ্যেস অনেকেরই আছে। সেইসব ফর্মূলা এর পাশে FR বা FU (!) লিখে রাখতে পারেন।
এইরকম, মনের মাধুরী মিশিয়ে abbreviation বা সংকেত বানাতে পারেন, সেটা সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষার আগে কুইক রিভিশন দিতে গেলে, কোন চ্যাপ্টার বা কোন পেইজে বা কোন চিপায়, কবে যে কি সংকেত দিছেন তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি, পরীক্ষার হলে ঢুকার আগ মুহুর্তে, ইম্পর্টান্ট ফর্মূলাগুলো আখেরী বারের মতো, জীবনের শেষ মোলাকাত করতে ইচ্ছা পোষণ করলেও, খুঁজে পাবেন না।
আপনি খেয়াল সেজন্য আপনি প্রত্যেক বইয়ের পিছনে নোট্ লেখার জন্য যে দুই পেইজ সাদা কাগজ থাকে। আর সাদা কাগজ না থাকলে আপনি স্কচটেপ বা স্টেপলার দিয়ে দুইটা লাগায় নেন। সেখানে এই abbreviation বা সংকেতগুলার একটা লিস্ট রাখেন। যার শুরুতে থাকে পেইজ নাম্বার তারপর abbreviation তারপর পাচ ছয় টা ওয়ার্ড। ওই কয়টা ওয়ার্ড দিয়ে আপনি বুঝবেন এইটা কি জিনিস। ব্যস, রিভাইজ দেয়া বা লাস্ট মোমেন্টে ফর্মূলা খুঁজে বের করা কোনো ব্যাপারই না। ধরেন আপনার পাঠ্য বিষয় হচ্ছে, "প্রেমিকা ভাগানোর ১০১ উপায়", তাইলে আপনার সামারি লিস্ট এমন হতে পারে
৬৯ - RA - স্টেটাস দেখে বুঝে নিন কে সিঙ্গেল
২২১ - NC - ব্রেকআপ হচ্ছে হচ্ছে টাইমে, শান্তনা দিয়ে, কিভাবে...
৩৬৯ - FR - সব সুন্দরী প্রোপিকের পিছনে থাকে, ইন্টারেস্টেড DSLR
রিসার্চ পেপার রিভিউ করার জন্য পড়ার টাইমেও আপনি একই কাজ করতে পারেন। যেমন nice, ইউনিক, assumption, ? বা একদম না বুঝলে ????? লিখে রাখতে পারেন।
আরেকটা কথা। অঙ্ক বা ম্যাথ কখনই চোখ বুলিয়ে বা দেখে যাবেন না। আই মিন অঙ্ক পড়ে গেলে পরীক্ষার হলে গিয়ে কোনদিনই অঙ্ক মিলাতে পারবেন না। অঙ্ক বা কোনো কিছুর প্রমান, যেমন, PV = nRT, কাগজে লিখে লিখে প্রাকটিস করে যেতে হবে। টাইম কম থাকলে কয়েক স্টেপ স্কিপ করে হইলেও লিখে লিখে প্রাকটিস করতে হবে। যত ভালো করেই দেখে যান না কোনো, পরীক্ষার হলে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলবেন। যদিও, প্রমান আমাদের কাছে, কখনই অপ্রমাণিত থাকে না। উপর থেকে পাচ লাইন আর নিচ থেকে চার লাইন, ফকফকা ক্লিন। মাঝের এক লাইনে হালকা গোজামিল। কেল্লা ফতে।