Recharge regularly via Motivation
কে কোন জব পাবে, কার কি ক্যারিয়ার হবে সেটা কিন্তু তার ইন্টারিভউ দিয়ে ডিসাইড হয় না। বরং এই জিনিসটা আগে থেকেই ডিসাইড হয়ে যায়। তুই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবি তোর ক্লাসের কোন ছেলে বা কোন মেয়েটা বেশি একটিভ। এবং কার ভালো ক্যারিয়ার হবে। কে ভালো জায়গায় চাকরি পাবে সেটা আগে থেকেই বলে দেয়া যায়। তারমানে স্টুডেন্ট লাইফে কি কিভাবে সিস্টেম করে নিজেদের ডেভেলপ করে নেয় তার উপরেই তার ক্যারিয়ার ঠিক হয়। তাই তুই তোর ক্যারিয়ার স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই গড়ে তুলবি।
সেজন্য তোর স্টুডেন্ট লাইফে কয়েকটা স্ট্রাটেজি ডেভেলপ করতে হবে। এই স্ট্রাটেজি গুলো তিনটা এঙ্গেলে করতে হবে। প্রথম এঙ্গেল হচ্ছে প্রোগ্রামিং শিক্ষার এঙ্গেল। সেই এঙ্গেলের জন্য ভার্সিটি লাইফের চার বছর কিভাবে পার করবি সেটা বলে দিচ্ছি
প্রথম বছরে-
প্রথম বছরে তোর কাছে পাঁচটা অপশন আছে।
১. তুই ক্লাসে যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখাবে সেটা খেয়াল করে শিখার চেষ্টা করতে পারস। কোন কিছু না বুঝলে ইউটিউব বা ভিডিও দেখে সেই জিনিস বুঝার চেষ্টা করতে হবে। সবকিছু পুরাপুরি বুঝে উঠবি না। না বুঝলেও সমস্যা নাই। তবে ৮০% জিনিসগুলা কি কি ছিলো সেগুলা কিভাবে করতে হয় সেই ধারণা করতে পারলেই হবে।
২. তুই চাইলে অনলাইন কিছু প্রবলেম সলভ করার চেষ্টা করতে পারস। যদি ভালো লাগে তাহলে আরো কিছু সলভ করবি। তখন আরো ইচ্ছে করলে প্রোগ্রামিং কনটেস্টের সাথে যুক্ত হবি।
৩.তুই পড়ালেখার ব্যাপারে খুব সিরিয়াস হয়ে যেতে পারস। ৩.৮ এর ঘরে জিইপিএ রাখার জন্য খুবই চেষ্টা করতে পারস। এই তিনটার যেকোন একটা লাইনে শুরু করলেই কিন্তু তোর ফিউচার উজ্জ্বল হয়ে যাবে।
৪. কেন ভালো ভার্সিটি হইলো না। কেন বন্ধুদের মতো ভালো জায়গায় চান্স পাইলাম না। কেন পছন্দের সাবজেক্ট কেন হইলো না। সেই আফসোস করতে করতে দিন-রাত জিম মেরে বসে বসে তালগোল পাকিয়ে ফেলা। প্রথম সেমিস্টার শেষে দুই সাবজেক্টে ফেল করা।
৫. প্রেম পিরিতি আড্ডা, বাড়ি ছেড়ে আসছি ভালো লাগে না। পড়া অনেক কঠিন। এইখানে পড়ে কি হবে সেই টেনশনে চাপ জোর করে নিতে নিতে নিজের চাপা কিরকিরা, ফিউচার খিরখিরা বানায় ফেলতে পারস।
দ্বিতীয় বছরে-
ভার্সিটি লাইফের সেকেন্ড ইয়ার হচ্ছে ধুম মাছালো অর্থাৎ ধুম যে চলো ইয়ার। যদি ফার্স্ট ইয়ারে থেকে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করা শুরু করে দেস তাহলে সেকেন্ড ইয়ারে ধুমাইয়া প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করবি। আর যদি ফার্স্ট ইয়ারে যেসব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখা সেই দিকে মনোযোগ দেস তাহলে ধুমাইয়া প্রোগ্রামিং করবি। আর যদি সিজি এর পিছনে ছোটা শুরু করে দেস। তাহলে রাট দিন একাকার করে সিজি তুলবি। সেটা চালাইতে থাকবি।
প্লাস দুইটা কাজ এক্সট্রা করবি সেটা হচ্ছে কোন একটা বা দুইটা অর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত হবি। সেটার মেম্বার হবি। কোন প্রোগ্রাম থাকলে সেখানে গিয়ে হেল্প করবি।
এছাড়াও কোন ফ্রেন্ড নতুন কিছু ট্রাই করা শুরু করলে, তুইও সেটা ট্রাই করবি। পোলাপানের একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে যে পড়ালেখা সিরিয়াসলি করলে স্কিল ডেভেলপ করা যায় না। বা প্রোগ্রামিং কনটেস্ট সিরিয়াসলি করলে মোটামুটি সিজি তোলা যায় না। এই কথাগুলো ঠিক না। তুই যদি সিরিয়াসলি পড়ালেখা করস তাহলে ঈদের বন্ধে, পূজার বন্ধে। ছুটির দিনগুলোতে কোন একটা জিনিস নিয়ে বসে সেটা ফকফকা করে ফেলবি। তাহলেই মোটামুটি হয়ে যাবে।
আর তুই যদি প্রোগ্রামিং বা কনটেস্টের দিকে বেশি মনোযোগ দেস তাহলে তোর যদি সিজি একটু কমে ৩.৩ এর কাছাকাছি চলে আসে তাহলে সেটা নিয়ে টেনশন করার কোন দরকার নাই। জাস্ট সিজি যত আছে তত ধরে রাখার চেষ্টা করবি।
তৃতীয় বছরে-
তৃতীয় বছরটা হচ্ছে নিজেকে মোল্ড করার সময়। লিডারশীপ, কমিউনিকেশন স্কিল, প্রেজেন্টেশন স্কিল, রিপোর্ট রাইটিং স্কিল এইসবে একটু সময় দেয়ার। তাই তোর টার্গেট হচ্ছে একটা কিছু স্পেশাল করা। হয় কোন বিজনেস কম্পিটিশন, কোন ক্লাব বা ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন এ কিছু সময় দিয়ে সেটার অর্গানাইজার হওয়ার। ক্লাসের কোন প্রেজেন্টেশন থাকলে আগে থেকে সময় বের করে সেটার জন্য প্রিপারেশন নেয়া। কিছু মামা-খালু জোগাড় করার।
এছাড়াও প্রোগ্রামিংয়ের কোন এরিয়াতে ভালো লাগে। কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো লাগে সেটা বের করার চেষ্টা করা। বুঝার চেষ্টা করা তুই কি জাভা দিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে নাকি, পাইথন বা php,নাকি ওয়েব বা এন্ড্রোয়েড নাকি মেশিন লার্নিং টাইপের কিছু একটা নিয়ে।
নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করা, সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগ করার সময় হচ্ছে থার্ড ইয়ার।
চতুর্থ বছর-
চতুর্থ বছর হচ্ছে নিজেকে ঘুছিয়ে আনার। কোন জায়গায় ঘাটতি থাকলে সেটা পুরিয়ে নেয়ার। যারা পাশ করে গেছে তাদের নেটওয়ার্কিং করার। সিজি ভালো হলে হায়ার স্টাডি করার প্রসেস সম্পর্কে হালকা ধারণা নেয়ার। থিসিস কি নিয়ে করলে যাব মার্কেটে ভালো ডিমান্ড পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে আগে থেকে খোঁজ খবর লাগানো। কোন কোম্পানিতে কি ধরণের প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করে। ইন্টারভিউতে কি ধরণের প্রশ্ন করে সেগুলা সম্পর্কে ইনফরমেশন কাল্কেট করা। সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা কে কোন কোম্পানিতে কাজ করতেছে, বেতন কেমন পাচ্ছে সেগুলা জেনে একটু একটু করে নিজেকে জব মার্কেটের জন্য উপযোগী করে তোলার সময় হচ্ছে ফোর্থ ইয়ার।
এই হচ্ছে ভার্সিটি লাইফের চার বছর কি রকম হতে পারে সেটার একটা মোটামুটি ধরণের আউটলাইন। তবে এইটা থেকে কারো হালকা একটু ডিফারেন্ট হলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। বরং যতটুকু সময় আছে তার মধ্যে এডজাস্ট করে নেয়ার চেষ্টা কর।
ফিউচারে পাবে আলু, যদি না থাকে মামা-খালু
এই চার বছরে তিনটা কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ন তারমধ্যে হচ্ছে স্কিল ডেভেলপ করা, মামা-খালু জোগাড় করা আর নিজের ঢোল নিজে পেটানোর প্রাকটিস করা। তো এখন বলি মামা খালু জোগাড় করার পাঁচ উপায় সম্পর্কে-
উপায় নাম্বার ওয়ান
তুই যদি মামা-খালু জোগাড় করে ফেলতে চাস। তাহলে আজকের পর থেকে তোর যেসব সিনিয়র ভাইয়া বা আপুরা ভালো কাজ পারে তাদের সাথে খাতির করা শুরু করে দিবি। কি কি কাজ শিখতেছস আর কি কি শিখা উচিত সেগুলা সিনিয়রদের কাছ থেকে জেনে নিবি। শিখার পর তাদের সাথে ডিসকাস করবি কোন কোন পার্ট ভালো লাগছে। কোন কিছু বুঝতে না পারলে সেই জিনিসটা কোন একটা কাগজে লিখে রাখবি তারপর তাদের সাথে যখন দেখা হবে তখন জিজ্ঞেস করবি। তাহলে তুই কি কি জানস বা শিখে ফেলতেছস সেগুলা তাদের মনে থাকবে।
পরবর্তীতে এইসব সিনিয়ররা ভাইয়া আপুরা যখন পাশ করে কোথাও চাকরি করবে এবং তাদের অফিসে যদি কোন জব ওপেনিং হয় তাহলে তখন তোর কথা তাদের মনে পড়বে। এমনকি যদি অন্য কাউকে খুঁজে বের করতে হয় তাহলেও তোকে বলবে অন্য কাউকে খুঁজে দিতে। তখন তুই অন্য কাউকে খুঁজে দিবি। আর তুই যদি সেই কাজের জন্য নিজে ইন্টারেস্টেড থাকস তাহলে তুই নিজেই নিজের সিভি তাদের কাছে দিয়ে দিবি।
তাছাড়াও সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগ থাকলে অনেক সুবিধা হয়। ধর তুই কোন একটা কোম্পানিতে চাকরির জন্য এপ্লাই করতেছস কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের কাউকে চিনস না। তবে কোন সিনিয়র আপু বা ভাইয়াদের সাথে তোর যদি যোগাযোগ থাকে তাহলে তাদের কাছে হেল্প চাইতে পারস।
তখন তাদের পরিচিত কেউ যদি তোর সিভি সেই কোম্পানির ম্যানেজার কাছে দেয় তাহলে তোর ইন্টারভিউ কল পায়ের প্রোবাবিলিটি ৭০% বেড়ে যাবে। তাই এইভাবে সিনিয়র ভাইয়া এবং আপুদের সাথে একটা বড় রকমের খাতির করে তাদেরকে মামা-খালু বানিয়ে দিবি। যাতে চাকরি খোঁজার সময় তাদেরকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
উপায় নাম্বার টু
সিনিয়ারদের মামা-খালু বানানোর আরেকটা ভালো উপায় হচ্ছে ভার্সিটির যেসব ক্লাব বা সংঘঠন আছে তাদের সাথে জড়িত হওয়া। কারণ এখন যে সেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বা মেইন দায়িত্বে আছে সে তোর সিনিয়র এবং তুই যদি সেই ক্লাবের কোন প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার জাস্ট ৩০ মিনিট আগে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হস এবং জিজ্ঞেস করস যে কোন হেল্প করা লাগবে কিনা।
এইভাবে কয়েকবার যদি তুই নিজে গিয়ে হেল্প করতে চাস তখন সেই ক্লাবের যে মেইন আছে সে বুঝে ফেলবে যে তুই একটু সিরিয়াস আর ডেডিকেটেড। আর সে যেহেতু পাশ করে চলে যেতে হবে এবং এই ক্লাবে আজীবন থাকতে পারবে না। তাই সে পাশ করে চলে যাওয়ার সময় তোকে হয়তো কোন একটা পোস্ট দিয়ে যাবে। সেটা না দিলেও তার সাথে তোর একটা পরিচয় এবং হালকা খাতির হয়ে গেছে। পরবর্তীতে কোন হেল্প লাগলে তার কাছে থেকে হেল্প পাবি।
উপায় নাম্বার থ্রি
এছাড়াও তুই জানস তোর ডিপার্টমেন্টের কোন স্যারের সাথে ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সাথে ভালো খাতির আছে। ডিপার্টমেন্টের কোন প্রোগ্রামের সময় বাইরের গেস্ট আনা লাগলে কোন স্যার নিয়ে আসে। তারমানে সেই স্যারের সাথে ইন্ডাস্ট্রি এর লোকজনের সাথে খাতির আছে। এখন তোর দরকার হবে সেই স্যারের সাথে খাতির করা। এই রকম তিন-চার জন স্যারের সাথে খাতির রাখবি। নিয়মিত দেখা করবি। সাজেশন নিবি। তারা যে জিনিস শিখতে বলে সেটার পিছনে সময় দিবি। তাহলে তাদের সাথে একটা যোগাযোগ তৈরি হবে।
পরবর্তীতে এইসব একটিভ স্যারদের সাথে যাদের খাতির আছে তাদের কোম্পানিতে কোন লোক লাগলে তারা স্যারদের বলবে। আর স্যার হয়তো তোদের ব্যাচের তোকে সবচেয়ে ভালো চিনে তাই তোকে বলবে দুই একজন স্টুডেন্টের সিভি জমা দিতে। তখন তুই তোর নিজের সিভি ভালো করে জমা দিয়ে দিবি। এবং সেই কোম্পানিতে কি ধরণের কাজ করে। ইন্টারভিউতে কি ধরণের প্রশ্ন করতে পারে সেটাও স্যারের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবি।
এইতো গেলো ভার্সিটির মধ্যে বিভিন্ন সিনিয়র ধরে মামা-খালু বানিয়ে দেয়া।
উপায় নাম্বার ফোর
এইটা ছাড়াও তুই যদি বিভিন্ন সেমিনার ওয়ার্কশপ বা কনফারেন্স যাস। সেখানে গিয়ে ওদেরকে হেল্প করার চেষ্টা করস। তাহলে তাদের সাথেও তোর একটা কানেকশন তৈরি হবে। এইটা ছাড়াও ইন্টারনেটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোগ্রামিং এর অনেক গ্রূপ আছে। তুই যদি সেই সব গ্রূপের একজন একটিভ মেম্বার হস। কারো যদি কখনো কোন প্রোগ্রামিং রিলেটেড হেল্প লাগে তখন তুই নিজে না জানলেও যদি গুগলে সার্চ দিয়ে তার উত্তর দেস। তাহলে তুই যে ভালো পারস এইটা গ্রূপের অন্যরা জানতে পারবে। এবং সেই জিনিস তুই যদি আগে নাও জানতি তাহলে সেটা তোর জানা হয়ে গেলো। এবং সেই গরূপে যারা যারা আছে তাদের অফিসে কোন চাকরির ওপেনিং থাকলে তোকে কনসিডার করবে।
উপায় নাম্বার ফাইভ
এইটা হচ্ছে যারা প্রোগ্রামিং জগতে একটিভ বা ভালো জায়গায় কাজ করে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব যেখানে পাবি সেখানে ফলো করবি। এবং খেয়াল রাখবি তারা কখন কোন কিছু নিয়ে আলোচনা বা স্ট্যাটাস দেয়। তখন তুই সেই বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে ঘঠণমূলক মন্তব্য বা নতুন কোন তথ্য যোগ করবি। এবং সে কোথাও সেমিনার বা ওয়ার্কশপ করলে সেখানে চলে যাবি। তোর কাছে যদি কোন কিছুর কনসেপ্ট ক্লিয়ার না থাকলে তাকে প্রশ্ন করবি। তারা যেখানে কাজ করে সেখানে কোন জব অপরচুনিটি থাকলে তারা সেটা নিয়ে পোস্ট দিতে পারে। তখন তুই এপ্লাই করলে এবং তোর আগের কোন মন্তব্য বা কোথাও দেখা হওয়ার বিষয়টা তার চোখে পড়লে তুই খানিকটা সুবিধা পেয়েও যেতে পারবি।
বাজাও ঢোল, ক্যারিয়ার হবে কুল
ভালো চাকরি পাইতে চাইলে নিজের ঢোল নিজেকেই পিটাতে হবে। এমনকি নিজের ঢোল না থাকলে অন্যর ঢোল এনে সেটার উপরে গামছা পেঁচিয়ে সেই ঢোলকে নিজের মতো করে বাজিয়ে দিবি। তাও ঢোল বাজাবি। অন্যের ঢোল নিজের করে বাজাতে না পারলে, ইন্টারনেট থেকে ঢোলের সাউন্ড ডাউনলোড করে সেটাকে বাজিয়ে দিবি। তারপরেও ঢোল বাজাতে হবে।
প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ঢোল হচ্ছে তোর রেজুমি। এটা নিয়ে তোকে আগেও কয়েকবার বলেছি। সো, এইটার ব্যাপারে সিরিয়াস থাকবি। এক সপ্তাহ পর পর রিভিশন দিয়ে দেখবি। নতুন কি কি যোগ করা যায়। কোন জায়গার একটা ওয়ার্ড চেইঞ্জ করা যায়। কারণ রেজুমি ভালো না হলে, ইন্টারভিউতেই কল পাবি না। চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা।
দ্বিতীয় ঢোল হচ্ছে লিঙ্কডইন প্রোফাইল। তুই যদি চাকরি পাইতে চাস, তাহলে তোর লিঙ্কডইন প্রোফাইল ভালো করে থাকতে হবে। সিনিয়র ভাইয়া আপু বা ভালো জব পাইছে এমন লোকদের লিংকড ইন প্রোফাইল দেখে নিজের প্রোফাইলটা ভালো করে সাজানোর চেষ্টা করবি। আর সম্ভব হলে কোন সিনিয়র ভাইয়া আপু এর কাছ থেকে লিংকড ইনে রিকমেন্ডেশন নিয়ে রাখবি। তাইলে তোর প্রোফাইল দেখতে ভালো লাগবে। তোর বিভিন্ন প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত সেখানে দিয়ে দিবি।
তৃতীয় ঢোল হচ্ছে গিটহাব। তুই যত প্রজেক্ট করবি, যত কোড লেখবি সব গিটহাবে রাখবি। এবং সব সময় রেজুমিতে তোর গিটহাব প্রোফাইলের লিঙ্ক দিয়ে দিবি। যাতে তারা চাইলে তোর কোড স্যাম্পল যেকোন সময় দেখতে পারে। গিটহাবে যে সব সময় চমৎকার চমৎকার কোড রাখতে হবে তার কোন কথা নাই। বরং যখন যেটা করবি সেটা গিটহাবে রেখে দিবি। এবং প্রথম প্রথম কোড ভালো না হলেও কোড রাখবি। রাখতে রাখতে কয়দিন পরে দেখবি কোডের কোয়ালিটি বেড়ে গেছে। আর হ্যাঁ, মিনিমাম তিনটা ভালো প্রজেক্ট গিটহাবে থাকা উচিত।
চতুর্থ ঢোল হচ্ছে তোর নিজস্ব ওয়েবসাইট। তোর নিজস্ব একটা ওয়েবসাইট থাকতেই হবে এমন কোন কথা নাই। তারপরেও থাকলে খুবই ভালো। সেখানে তুই নিজের প্রোফাইল রাখলি। এক পেইজে রেজুমি রাখলি। আর তুই কি কি প্রজেক্টে কাজ করছস সেটা লিখে রাখবি।
তার পাশাপাশি কিছু ব্লগ রাখবি তোর ওয়েবসাইটে । নিজে নিজে নতুন কোন ব্লগ লিখতে পারলে অবশ্যই ভালো। কিন্তু তুই নিজে নিজে কি ব্লগ লেখবি সেটা ঠিক করতে না পারলে, কোন একটা টপিকের উপর পাঁচ থেকে দশটা ব্লগ পড়বি। তারপর এই পাঁচটা ব্লগের সামারি তোর নিজের ভাষায় লিখে ফেলবি। কখনো কোথাও থেকে ডাইরেক্ট কপি মেরে দিবি না। বরং ওদের কথাগুলোই তোর নিজের ভাষায় লিখে দিবি।
তুই যদি ভার্সিটি লাইফটা ম্যানেজ করে চলতে পারস। তাহলে নিজেকে টপ ক্লাস কেন্ডিডেট হিসেবে ডেভেলপ করতে পারবি। তাহলে তোর ক্লাসের অন্যসব পোলাপানের চাইতে তোর প্রোফাইল অনেক অনেক বেশি স্ট্রং হবে। তোর কনফিডেন্স ভালো হবে। সিজি কোনরকম চলনসই হলেও তুই ভালো জায়গায় চান্স পেয়ে যাবি। এবং ক্যারিয়ার ভালো করার রাস্তা পেয়ে যাবি।
স্টুডেন্ট লাইফে টেকনিক্যাল স্কিল ডেভেলপ করার পাশাপাশি আরো কয়েকটি জিনিসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইংরেজি। ইংরেজি খুবই প্রয়োজন কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ দিতে হবে ইংরেজিতে। তুই যেসব কোডিং শিখতে গেলে যেসব ভিডিও বা ব্লগ দেখে দেখে শিখবি সেগুলা থাকবে ইংরেজিতে। কোন একটা কিছু নিয়ে আটকে গেলে সেটা নিয়ে গুগুলে সার্চ দিলেও বেশিরভাগ জিনিস পাবি ইংরেজিতে। তাই ইংরেজি পড়া, বুঝতে পারার ক্ষেত্রে নিজেকে ডেভেলপ করতে হবে।
তাছাড়া আরেকটু ইম্পরট্যান্ট জিনিস হচ্ছে ইংরেজিতে কিছু একটা লিখতে পারা। কারন চাকরিতে অনেক সময় ইমেইলে লিখতে হবে। অন্যদের ইমেইলের রিপ্লাই দিতে হবে। তাছাড়া কোথাও নিজের প্রোফাইল খুলতে গেলে এমনকি তোর নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট বানাতে গেলে নিজের সম্পর্কে কিছু লিখতে চাইলে সেটা ইংরেজিতে লিখতে হবে। আর তুই নিজে যদি ব্লগ লিখে সেটা সারা দুনিয়ার মানুষের সাথে শেয়ার করতে চাস সেটাও ইংরেজিতে লিখতে হবে। তাই স্টুডেন্ট লাইফে ইংরেজি লিখতে, পড়তে ও বুঝতে পাড়ার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
আর তাছাড়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে টাইপিং স্পিড। একজন প্রোগ্রামার হতে হলে টাইপিং স্পিড ভালো থাকতেই হবে। গুগলে সার্চ দিলে টাইপিং প্রাকটিস করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট পাওয়া যায়। যেখানে গেমস খেলতে খেলতে টাইপিং স্পিড বাড়ানো যায়। তাই কোন এক সপ্তাহ বা ঈদের পরে কয়েকদিন ঠিক করে নিবি। এবং সিদ্ধান্ত নিবি এই কয়দিনে তোর টাইপিং স্পিড প্রতি মিনিটে ৩৫ হাসব্দের চেয়ে বেশি করে নিবি। তাইলে বাকিটা কাজ করতে করতে বেড়ে যাবে।
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]