আপনি কি ডিজার্ভ করেন, কি কোয়ালিফিকেশন আছে বা আপনার কি পাওয়া উচিত সেটা সব সময় মেটার করবে না। চান্স পাইলেই আপনার মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে প্রমোশন পাবে আরেকজন কিন্তু তার ভুলগুলির জন্য ঝাড়ি খাবেন আপনি। আবার পুরা সেমিস্টার রাত জেগে রিপোর্ট লিখবেন আপনি আর প্রজেক্ট সাবমিশনের আগে, তড়িগড়ি করে সবকিছু শুনে স্যারের কাছে গলা বাড়িয়ে ডেমো দেবে চাল্লু সাফিন।
এদের কাছে একবার ধরা খাইলেও দুইবার ধরা খাওয়া যাবে না। চুপচাপ হজম না করে, চিকন চাকন স্ট্রাটেজি বের করতে হবে। দুই একবার ওর সামনেই বস কে বলে দিবেন, আমি এইটা করতেছি, ও ঐটা দেখতেছে। কাজ শেষ হবার আগেই, লিফটে, গল্পের ছলে আপনার বস/ ক্লাস টিচারকে হালকায়ে একটু হিন্টস দিয়ে দিলেন। লাস্ট ডে হিরোদের, কিছু ইনফরমেশন দিলেও দুই একটা ক্রিটিকাল ইনফরমেশন দিবেন না। ডেমো দেয়ার টাইমে কারেকশন করে দিলে, চাল্লু মিয়া ধরা খেয়ে যাবে। রাগ করবে, আপনার উপর হালকা মন খারাপ করবে, দুই দিন কথা বলবে না তবে লাইনে চলে আসবে।
অনেক সময় এক্সটার্নাল ফ্যাক্টরও কাজ করে। যেমন, ম্যাথ, ইংলিশ বা সাইন্সে তেমন ভালো না হইলেও, হেডমাস্টারের ছেলে সব সময়ই ফার্স্ট বয়। অন্য কেউ অনেক ভালো ভাব-সম্প্রসারণ লিখলেও নম্বর পায় না। ইচ্ছে করে নম্বর কম দেয়ায়, অন্যায়ভাবে সেকেন্ড পজিশনে নামিয়ে দেয়ায় মন খারাপের তকমা লাগিয়ে হাত পা ছেড়ে দিয়ে চুপ বসে থাকলে, সেকেন্ড বয় একদিন সেকেন্ড থেকে থার্ড, তারপরে ফোর্থ ফিফথ হয়ে লাস্ট বয় হয়ে যাবে। বাধার দেয়াল যত শক্ত হবে, চেষ্টার দৌড় তত বেশি হবে। সাধনা চালাতে চালাতে হয়তো ক্লাস সিক্সে পারবেন না, সেভেন এইটে হবে না, নাইন টেইনেও দিবে না কিন্তু সত্যিকারের কোয়ালিটি থাকলে এসএসসি পরীক্ষায়, কলেজে, ভার্সিটিতে দমায়ে রাখতে পারবে না। ভিতরে আগুন থাকলে, কয়দিন আটকে রাখবে?
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]