মূর্খ গোয়ালার শিক্ষিত ছেলে অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা বুদ্ধি বের করে তার বাবাকে জিগ্যেস করলো- প্রতিদিন কয় লিটার দুধ পাও? > মোটামুটি, ৩ লিটার। তাইলে এক মাসে কয় লিটার হয়? > মাসে ৩০ দিন হইলে, ৯০ লিটার। শুনো, প্রতিদিন কষ্ট করে ৩ লিটার করে দুধ দুইয়ে, সেটা বাজারে বিক্রি করার চাইতে ভালো একটা প্ল্যান আছে। একদিন কষ্ট করলেই তুমি ৯০ লিটার দুধ পেতে পারো। > ক্যামনে? খুবই সিম্পল। প্রতিদিন, গাইয়ে ৩ লিটার করে দুধ দিবে। তুমি সেটা দুইবা না। এইভাবে প্রতিদিন ৩ লিটার করে জমা হতে থাকবে। সেটা ৩০ দিনে জমা হয়ে ৯০ লিটার হয়ে যাবে। ব্যস, মাসের শেষদিন গিয়ে এক সাথে সব দুধ দুইয়ে ফেলবা। বাই দ্যা ওয়ে, ৯০ লিটার দুধ ধরবে এমন কোন বালতি আছে? > না। তাইলে আজকেই একটা কিনে ফেলবা।
হাজার টাকা খরচ করে, ৯০ লিটার দুধ ধরবে এমন বিশাল একটা বালতি নিয়ে, মাসের শেষ দিন দুধ দুইতে গিয়ে গোয়ালা ৯০ লিটার দুধ তো দূরের কথা ৩ লিটারও ঠিক মত পায় নাই। রেগে মেগে, ছেলেরে বাইন্ধা দিছে ধুমাইয়া একটা মাইর। মাইর খেয়ে, বাড়ি থেকে পালিয়ে, শিক্ষিত-বুদ্ধিমান ছেলে একটা ব্যাংকে ট্রেনি অফিসার হিসেবে জয়েন করলো।
সো, বুঝে না বুঝে আজাইরা প্ল্যান বানাবেন না। ইনফ্যাক্ট প্ল্যান ই বানাবেন না। কারণ, আমরা দুই দিন প্ল্যান বানাইয়া ছয় মাস ঘুমায় থাকি। ছয় মাস পরে এক-দুই ঘন্টা সময় দিলে, ড্রিম আসমান থেকে পয়দা হবে না। বরং ড্রিমের জন্য প্রতিদিন সময় দিতে হবে। আসল কথা হচ্ছে, প্ল্যান বানানোর পিছনে অযথা টাইম নষ্ট করবেন না। দুনিয়ার কেউই কোনদিন প্ল্যান মত সবকিছু করে উঠতে পারে নাই। আপনিও পারবেন না। সো, আজকে থেকে প্ল্যান করা বন্ধ। তারচাইতে বরং একটা সিম্পল চেক-লিস্ট বানান। একটা আউটলাইন বানান। এইটার পর এইটা করতে চাই। এবং তৎক্ষণাৎ কাজে নেমে পড়েন।
আরেকটা কথা। স্বপ্নের পিছনে লেগে থাকতে হবে। দুই-চারবার ব্যর্থ হইলে, মাইর খাইলে, নেক্সট টাইম কোন জিনিসটা ডিফারেন্টভাবে ট্রাই করবেন, সেটা বের করতে হবে। হাল ছেড়ে ব্যাংকে জয়েন করলে কোনদিনও সফল হতে পারবেন না।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]