সুখী হওয়ার চেষ্টাই সংগ্রাম
আজকে আপনি কতটুকু সুখী হবেন, সেটা আগের দিন রাত্রে আপনার ঘুম কত ভালো হইছে তার উপর নির্ভর করবে। খেয়াল করে দেখবেন, কোনদিন দুই-তিন ঘন্টা ঘুম কম হইলে পরেরদিন দুপুর থেকেই মেজাজ খিটমিট করতে থাকে, কাজে মনোযোগ আসে না এবং বিকেলের মধ্যেই মাথা ধরে যায়। কায়িক পরিশ্রম করে, দিন-মজুর লোকটা আরামের ঘুম দিয়ে সারাদিন খোশ মেজাজে থাকে। আর এসি রুমে আয়েশে বসে ভালো ভালো খাবার খেয়ে, পয়সাওয়ালারা ঘুমের ট্যাবলেটের পিছনে ছোটে।
আরেকটা জিনিস হচ্ছে, সুখী হবার সাথে সেটিসফেকশন বা সন্তুষ্টির সম্পর্ক আছে, টাকা-পয়সা গাড়ি-বাড়ির সম্পর্ক নাই। অথচ আমরা সবাই ভাবি, নিজের একটা বাড়ি হইলে, মাল্টিন্যাশনালে একটা চাকরি হইলে জীবনে খালি সুখ আর সুখ। হ্যাঁ, বাড়ি-গাড়ি হইলে কয়েকদিনের জন্য সুখ আসবে। কিন্তু সেটা টিকবে না। ধরেন, আপনি দশ লাখ টাকা পেয়ে গেলেন বা একটা বাড়ি কিনে ফেললেন। প্রথম কয়েকদিন হ্যাপি হ্যাপি ফিলিংস আসলেও কয়দিন পরে আপনার সুখ আগের লেভেলে ফিরে যাবে। বাড়ি থাকাটা আপনার কাছে একটা নরমাল ব্যাপার হয়ে যাবে। আর বাথরুমের লাইট ঘন ঘন ফিউজ হইলে, গাড়ির বডিতে রিক্সাওয়ালা ডলা দিলে, সুখ আগের লেভেল থেকে কমে অসুখীর পর্যায়ে চলে যাবে।
সুখী মানুষেরা সম্পদের পিছনে না ছুটে, সম্পর্কের পিছনে ছুটে। ছেলে-মেয়ে, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিলেমিশে জীবন উপভোগ করে। তারা জানে, চাওয়া পাওয়ার মাঝে গ্যাপ যত কম হবে, জীবনে সুখের পরিমাণ তত বেশি হবে। সম্পদ যত কম থাকবে, ঝামেলা তত কম হবে। আর টাকা-পয়সা, প্রভাব-প্রতিপত্তির পিছনে ছুটতে গিয়ে পরিবার-পরিজনের কথা ভুলে গেলে, কয়দিন পরে দেখা যাবে, নিত্য নতুন গাড়ি দিয়ে বউ অন্য কারো সাথে মার্কেটিং করতে সিঙ্গাপুর গেছে, আনলিমিটেড রিচার্জ পেয়ে ছেলেমেয়ে ইয়াবা টানছে।
সুখে শান্তিতে বাচতে হইলে, জীবন উপভোগ করতে হইলে, পরিবার আর পার্সোনাল গোলের মধ্যে ব্যালেন্স রাখতে হবে। তাইলেই সফলতা আর সুখ মিলে মিশে যাবে আপনার জীবনে।
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]